প্রয়াত বিজেপি নেতা যশবন্ত সিং
চলে গেলেন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিং। বিজেপি তৈরির সময় থেকে যিনি ছিলেন দলের অন্যতম স্তম্ভ।
নয়াদিল্লি : হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা যশবন্ত সিং-এর। তবে তিনি মাল্টি অর্গান ডিসফাংশন সিনড্রোম নিয়ে হাসপাতালে দীর্ঘদিন ভর্তি ছিলেন।
গত ২৫ জুন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর থেকে তিনি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের একটি দল গঠন করা হয়েছিল।
চিকিৎসকদের সেই দল ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখত যশবন্ত সিংকে। এত চেষ্টার পরও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ৮২ বছর বয়সে চলে গেলেন বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য যশবন্ত সিং।
প্রথম জীবনে ছিলেন ভারতীয় সেনায়। মেজর পদমর্যাদায় কাজ করেছেন সেনায়। সেনাবাহিনী থেকে অবসরের পর তিনি যোগ দেন রাজনীতিতে।
বিজেপি গড়ে তোলার সময় অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণীর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই করেছেন। পদ্ম শিবিরকে তিলে তিলে যাঁরা গড়ে তুলেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলে যশবন্ত সিং। পরে বাজপেয়ী সরকারে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ সামলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যশবন্ত সিংয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, যশবন্ত সিং প্রথম জীবনে একজন সৈনিক হিসাবে দেশের সেবা করেছেন, পরে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে সেখানেও দেশের সেবা করেছেন।
অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারে যশবন্ত সিং অর্থ, প্রতিরক্ষা ও বিদেশ মন্ত্রকের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি লড়াই করে বাঁচতেন। গত ৬ বছর নানা অসুখের সঙ্গেও লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, বিজেপিকে শক্তিশালী করে তোলার পিছনে যশবন্ত সিং-এর যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। যশবন্ত সিংয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তাঁর ছেলে মানবেন্দ্র সিং-এর সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন।
যশবন্ত সিংয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আর এক বিজেপি শীর্ষ নেতা তথা দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোশ্যাল সাইটে শোক ব্যক্তে করে জানান একজন সেরা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছাড়াও যশবন্ত সিং ছিলেন একজন সেরা সাংসদও।
রাজস্থানেও বিজেপিকে শক্তিশালী জায়গা করে দিতে যশবন্ত সিংয়ের ভূমিকা ছিল প্রশ্নাতীত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা