১৯৯৪ সালের আগে সিনেমাই ছিল ধ্যানজ্ঞান। দক্ষিণ ভারতীয় এবং পরবর্তীকালে বলিউডে তিনি দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। একডাকে তাঁকে চিনতেন গোটা ভারতবাসী। অভিনেত্রী হিসাবে খুব দ্রুত প্রথম সারিতে জায়গা করে নেন এই দক্ষিণী সুন্দরী। ১৯৯৪ সালে সিনেমার পাশাপাশি যোগ দেন রাজনীতিতে। রাজনীতিতে পা রাখেন তেলেগু দেশম পার্টির হাত ধরে। সেই শুরু রাজনৈতিক জীবনের। যা এখনও অব্যাহত। তবে এর মাঝে কয়েকবার দল বদল করে ফেলেছেন তিনি। তিনি জয়া প্রদা। যাঁকে এখনও একডাকেই চেনে গোটা ভারত।
সেই অভিনেত্রী তথা রাজনীতিবিদ জয়া প্রদা মঙ্গলবার যোগ দিলেন বিজেপিতে। নয়াদিল্লিতে তাঁকে দলে স্বাগত জানান বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব ও বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনিল বালুনি। এই নিয়ে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে চতুর্থ দলে যোগ দিলেন জয়া প্রদা।
শুরু টিডিপি-র হাত ধরে। তারপর টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডু-র সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় দল ছাড়েন জয়া প্রদা। যোগ দেন সমাজবাদী পার্টিতে। ২০০৪ সালে উত্তরপ্রদেশের রামপুর লোকসভা আসন থেকে সপা-র টিকিটে দাঁড়িয়ে ৮৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন তিনি। ২০০৯ সালেও রামপুর আসন থেকেই জিতে ফের সপা সাংসদ হন জয়া প্রদা। যদিও সপা-র আজম খানের সঙ্গে তাঁর খোলাখুলি লড়াই সকলের সামনে চলে আসে। ২০১০ সালে তাঁকে দল বিরোধী কাজের জন্য সপা থেকে বহিষ্কার করা হয়। তখন সপা-র আর এক বিক্ষুব্ধ নেতা অমর সিং-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাষ্ট্রীয় লোকমঞ্চ তৈরি করেন জয়া।
২০১৯ সালের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এবার তিনি যোগ দিলেন বিজেপিতে। এখন বিজেপি তাঁকে রামপুর লোকসভা আসনের টিকিট দেয় কিনা সেদিকেই চেয়ে সকলে। তবে ভোটের মুখেই তাঁর বিজেপিতে যোগদানে রাজনৈতিক মহলের ধারণা তাঁকে রামপুর থেকে দাঁড় করানোর কথা বিবেচনা করেই হয়তো বিজেপি জয়া প্রদাকে দলে বরণ করে নিল।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)