National

লড়াই শেষ, চলে গেলেন আম্মা

আড়াই মাস যমে মানুষে লড়াইয়ের শেষে চলে গেলেন জয়ললিতা। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ অ্যাপোলো হাসপাতালের তরফে তামিলনাড়ুর ৬ বারের মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুর কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুর কথা ঘোষণার পরই চেন্নাই জুড়ে শোকের আবহ তৈরি হয়। রাতেই হাসপাতাল চত্বরে বহু মানুষ ভিড় জমান। ছিল যথেষ্ট পুলিশি বন্দোবস্তও। সোমবার বিকেল থেকেই জয়ললিতার বাসভবন ঘিরে ফেলে পুলিশ। বিশেষ বৈঠকে বসেন তামিলনাড়ুর সব বিধায়ক। তখনই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। তবে কী আর ফেরা হল না জয়ললিতার! কারণ ৪ ডিসেম্বরই তাঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। যারপর কার্যতই মৃত্যু হয়ে গেল সময়ের অপেক্ষা। গত ২২ সেপ্টেম্বর জ্বর নিয়ে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন জয়ললিতা। ফুসফুসের সংক্রমণের চিকিৎসা চলছিল। অক্টোবরটা যায় যায় অবস্থা তৈরি হলেও নভেম্বর থেকে ফের ভাল হয়ে উঠতে শুরু করেন তিনি। আর ডিসেম্বরের শুরুতে তো চিকিৎসকেরা তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার কথাও একবার ভেবেছিলেন। কিন্তু আচমকা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট সব আশায় জল ঢেলে দিল। কাজ করা বন্ধ করে দেয় হৃদপিণ্ড ও ফুসফুস। চলে গেলেন জয়ললিতা। যৌবনে রূপোলী পর্দার ডাকসাইটে নায়িকা ছিলেন। সেখান থেকে পরবর্তী জীবনে রাজনীতিতে পা। সেখানেও সাফল্য তাঁর পিছু ছাড়েনি। করুণানিধির মত হেভিওয়েট বিরোধী শক্তির সঙ্গে লড়াই করে এডিএমকে-র ধ্বজা তামিলনাড়ুর আকাশে উড়িয়ে দিয়েছিলেন জয়ললিতা। শেষ দিন পর্যন্ত সেই কুর্সির অধিপতি হয়েই মৃত্যু হল তাঁর। জয়ললিতার মৃত্যু ভারতীয় রাজনীতিতে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি করল। ট্যুইটে এই ভাষাতেই শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

 



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button