প্রথম জীবনে অভিনয় দিয়ে শুরু। মাত্র ১৩ বছর বয়সে রুপোলী পর্দায় আত্মপ্রকাশ। তারপর একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। তামিল সিনেমার ডাকসাইটে এই অভিনেত্রী কাজ করেছেন হিন্দি ছবিতেও। ধর্মেন্দ্রর বিপরীতে। একটি ইংরাজি ছবিও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তামিল সিনেমার সাড়াজাগানো হিরো এমজি রামচন্দ্রনের সঙ্গে তাঁর জুটি একগুচ্ছ হিট ছবি উপহার দিয়েছে তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে। অন্যদিকে এমজিআর-এর হাত ধরেই তাঁর রাজনীতির পাঠ। সিনেমার পর রাজনৈতিক গুরুও তিনিই। তামিল রাজনীতিতে এমজিআরের গুরুত্ব অপরিসীম। ১৯৮৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী অবস্থায় এমজিআরের মৃত্যুর পর তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে ক্রমশ প্রাসঙ্গিক হতে থাকেন সুযোগ্য শিষ্যা জয়ললিতা। দ্রুত এডিএমকের শীর্ষস্থানীয় নেত্রীর জায়গা নিয়ে নেন এক সময়ের অভিনেত্রী জয়া। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তামিলনাড়ুর রাজনীতির অন্যতম নেত্রী ৬ বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ডিএমকে নেতা করুণানিধির মত শক্তিশালী বিরোধীকে নির্বাচনে পরাজিত করে এডিএমকের ঝাণ্ডা তামিলনাড়ুতে উড়িয়েছেন জয়লিলতা। রাজ্যের আম জনতার কাছে তিনি ছিলেন আম্মা। তামিলনাড়ুর সেই আম্মাই আজ আর নেই। একটা বিরাট শূন্যস্থান তৈরি করে ইহজগৎ ত্যাগ করলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জি জয়লিলতা।