১৯৭১ সালের কথা। বক্স অফিসে সেবছর মুক্তি পেয়েছে ‘কাঠপুতলি’, ‘কারাভান’, ‘বিখরে মোতি’ সহ একাধিক ছবি। একের পর এক হিট ছবি তো ছিলই, অভিনয় আর সৌম্য চেহারার দৌলতে ৭০-এর দশকে সুনামও জুটছিল চুটিয়ে। একডাকে গোটা দেশ চিনত তাঁকে। অভিযোগ, সেই বছরই তুতো বোনের শ্লীলতাহানি করেছিলেন ‘হিম্মতওয়ালা’ খ্যাত বলিউড নায়ক জিতেন্দ্র। হোটেলের ঘরে ২টো আলাদা খাট একসাথে জুড়ে বোনের সম্মানহানি করেছিলেন অভিনেতা দাদা। অথচ সে বিষয়ে মুখ খুলতে সাহস পাননি নির্যাতিতা বোন। কারণ, যার যৌন হয়রানির শিকার তাঁকে হতে হয়েছিল, তিনি ছিলেন বলিউডের স্বর্ণযুগের জনপ্রিয় অভিনেতা।
২ সন্তানের বাবা অভিনেতা জিতেন্দ্রর বয়স এখন ৭৫। ৪৭ বছর আগে তাঁর বয়স ছিল ২৮। অভিযোগ, সেইসময় সিমলার ১ হোটেলে বয়সে ১০ বছরের ছোট তুতো বোনের মদ্যপ অবস্থায় শ্লীলতাহানি করেন তিনি। নির্যাতিতার দাবি, সেদিনের ঘটনার কথা লজ্জায়, ভয়ে কাউকে জানাতে পারেননি তিনি। এতগুলো বছর ধরে প্রভাবশালী দাদার কুকীর্তির কথা বুকের মধ্যেই চাপা ছিল তাঁর।
তাহলে এতদিন পর হঠাৎ মনে হল কেন এই ঘটনা সামনে আনা দরকার? ৪৭ বছর পর তাঁকে মুখ খোলার সাহস জুগিয়েছে ‘#মি টু’ নামে একটি ক্যামপেন। পৃথিবী জুড়ে নানা সময়ে নানা ভাবে ক্ষমতাশালী ব্যক্তির যৌন হয়রানির মুখে পড়েছেন মেয়েরা। কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে অভিযুক্তরা পার পেয়ে যাবেন। এই আশঙ্কায় নিজেদের সাথে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সংকোচ বোধ করেন অনেক মহিলাই। সেই সংকোচ দূর করে প্রতিবাদ জানাতে তাঁদের পাশে এসে সোশ্যাল সাইটে ‘#মি টু’ প্রচার। তা দেখেই গত বুধবার পুলিশের দ্বারস্থ হন জিতেন্দ্রর বোন। বর্ষীয়ান অভিনেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানান তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে হিমাচল প্রদেশ পুলিশ।
বলিউডের বহু হিন্দি হিট ছবির নায়ক জিতেন্দ্র। এতদিন যাবত শোনা যায়নি তাঁর কোনও ‘স্ক্যান্ডাল’। ৪৭ বছর পরে কিনা তাঁর বিরুদ্ধে উঠল যৌন হেনস্থার অভিযোগ! এই নিয়ে এখন জোর জল্পনার ঝড় উঠেছে বি-টাউনে। অভিযোগকারিণীর এমন চাঞ্চল্যকর দাবি জিতেন্দ্র বা তাঁর পরিবারে কি প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করল? সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি কিছুই।