৮২-র বৃদ্ধাকে নিয়ে ১০ মিনিটে মহাকাশ ঘুরে এলেন অ্যামাজন কর্তা
সীমানা পেরিয়ে মহাকাশ ছুঁয়ে এলেন অ্যামাজনের মালিক তথা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মানুষ জেফ বেজোস। তিনি যেখানে গেলেন সেখানে এই প্রথম কোনও সাধারণ মানুষ পৌঁছলেন।
মহাকাশ থেকে পৃথিবী দর্শন এতদিন ছিল কেবল বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নভশ্চরদের সৌভাগ্যের তালিকায়। এবার সেখানে যুক্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষও। মাত্র ১১ দিনের ব্যবধানে পৃথিবী দর্শন করে ফিরলেন রিচার্ড ব্র্যানসন ও জেফ বেজোস। সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন।
রিচার্ড গত ১১ জুলাই পাড়ি দেন ব্যক্তিগত মহাকাশযানে। তিনি গিয়েছিলেন পৃথিবী থেকে ৮৬ কিলোমিটার উচ্চতায়। সেখান থেকে ভরশূন্য অবস্থায় পৃথিবী দেখে ফেরেন রিচার্ড ও তাঁর অন্য ৪ সঙ্গী।
২০ জুলাই ফের পাড়ি দিলেন অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজোস। তবে তিনি রিচার্ডকে উচ্চতায় হারিয়ে দিয়েছেন। জেফ পার করলেন ১০০ কিলোমিটার।
পৃথিবী থেকে ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় রয়েছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ সীমানা। যাকে কারমান লাইন বলা হয়। সেই সীমানা পার করেও উপরে গেলেন বেজোস।
বেজোস একা যাননি। তাঁর সঙ্গে মহাকাশ ছুঁয়ে এলেন ৮২ বছরের বৃদ্ধা ওয়ালি ফাঙ্ক। পৃথিবীর এতটা ওপরে এত বেশি বয়সের মানুষ হিসাবে পাড়ি দেওয়ায় রেকর্ড গড়লেন ওয়ালি।
আরও রেকর্ড হল। নেদারল্যান্ডসের ফিজিক্সের ছাত্র ১৭ বছরের অলিভার দেমেন-ও ছিলেন এই মিশনে। তিনি হলেন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ মানুষ যিনি মহাকাশে ঘুরে এলেন। বেজোসের সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাইও। এই ৪ জনই উড়ে যান আকাশে।
যে মহাকাশযানে করে ৪ জন পাড়ি দেন তার নামকরণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশচারী অ্যালান শেপার্ডের নামে করা হয়েছে।
শেপার্ড রকেটটি ছিল পাইলটহীন। ৫ তলা উঁচু রকেটটি পুরোটাই স্বয়ংক্রিয়। উড়ে গিয়ে ফিরে আসা, এই পুরোটায় সময় লাগে ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডে।
জেফ বেজোস পৃথিবীর মাটিতে ফিরে আসার পর জানান এটা ছিল তাঁর জীবনের সেরা দিন। কেমন লাগল তা তিনি ভাষায় প্রকাশ করে উঠতে পারছেন না, এটা ভীষণ শান্তির ছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা