আর্থিক দিক থেকে সম্পূর্ণ ধ্বস্ত জেট এয়ারওয়েজ। ভারতের অন্যতম সেরা বেসরকারি বিমান পরিবহণ সংস্থা হিসাবে জেট প্রসিদ্ধ। যাঁরা বিমানে যাতায়াত করেন তাঁদের কাছেও জেট সম্বন্ধে একটা ভাল ধারণা ছিল। কিছুদিন যাবত সেই জেট এয়ারওয়েজে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বসে যায় বহু বিমান। কর্মীরা মাইনে বৃদ্ধি না হলে কাজে যোগ দিতে বেঁকে বসেন। পাইলটরাও কাজে আপত্তির কথা জানিয়ে দেন। এই অবস্থায় যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয় তা নিয়ে জেটের অন্দরমহলে তোলপাড় চলছিল। সেইসঙ্গে ব্যাঙ্কের চাপও ছিল।
সোমবার এই অবস্থার কথা মাথায় রেখে বৈঠকে বসে জেট এয়ারওয়েজের বোর্ড। ছিলেন চেয়ারম্যান নরেশ গোয়েল। বৈঠকের পর সংস্থার তরফে জানানো হয় নরেশ গোয়েল ও তাঁর স্ত্রী অনিতা গোয়েল সরে দাঁড়াতে চলেছেন। এরপরই নরেশ গোয়েল বোর্ড থেকে ইস্তফা দেন। যদিও বৈঠকের মূল বিষয় ছিল কীভাবে অন্তর্বর্তী পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করার টাকা জোগাড় হবে। সেখানেই নরেশ গোয়েলের ইস্তফা যথেষ্ট চমকপ্রদ। তবে এমন কিছু যে হতে পারে তার আন্দাজ সংশ্লিষ্ট মহল আগে থেকেই করছিল।
এদিকে জেট এয়ারওয়েজের মোট ঋণের বোঝা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা। এই অবস্থায় ইতিমধ্যেই জেটের পাইলট থেকে কর্মীরা অন্য সংস্থায় বায়োডেটা জমা দেওয়া শুরু করেছেন। গত ডিসেম্বরে মোট মাইনের ১২.৫ শতাংশ করে হাতে পেয়েছিলেন সকলে। জানুয়ারি থেকে এক কানাকড়িও দেয়নি জেট। ফলে তাঁদের পক্ষে আর কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন কর্মীরা।
এদিকে জেটের মার্কেট শেয়ার পড়ছে। শেয়ার বাজারেও জেটের শেয়ার নিম্নমুখী। এমন অবস্থায় ব্যাঙ্কের তরফে জেটের পুনরুজ্জীবনে কিছু করা হয় কিনা সেদিকে নজর সকলের। এমনকি ব্যাঙ্ক সরাসরি জেট অধিগ্রহণ করেও নিতে পারে বলে কানাঘুষো।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)