অন্ধকার শীতকালের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা
আমেরিকা এক অন্ধকার শীতকালের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ক্রমশ বেড়ে চলেছে চ্যালেঞ্জ। আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন।
ওয়াশিংটন : ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে মার্কিন মসনদে বসতে চলেছেন জো বাইডেন। ভোটের টানটান উত্তেজনা শেষ হয়েছে। শপথ গ্রহণ এখনও বাকি। তাই তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলা যাচ্ছেনা ঠিকই, তবে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাজটা শুরু করেই দিয়েছেন।
আমেরিকার সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ করোনা। সেখানে ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা। প্রতিদিন হুহু করে বাড়ছে সংক্রমণ। বাড়ছে মৃত্যু। তাই এই শীতকালকে অন্ধকার শীতকাল বলে ব্যাখ্যা করে জো বাইডেন বললেন আমেরিকা অন্ধকার শীতকালের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। চ্যালেঞ্জ বেড়েই চলেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসাবে করোনাকাল অনেকটা বেশিই কাটাচ্ছেন। তবে তিনি নিজে মাস্ক পরায় বড় একটা রাজি কখনওই ছিলেননা। দেশবাসীকেও মাস্ক পরায় উৎসাহ দেননি সেভাবে।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ থাকা সত্ত্বেও আমেরিকায় মাস্ক সেভাবে বাধ্যতামূলক হয়নি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই মাস্ক না পরার প্রবণতা থেকে আমেরিকায় আরও বেশি করে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে।
ট্রাম্পের এই মাস্ক অনীহা যে তাঁর না পসন্দ তা কিন্তু স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন জো বাইডেন। বরং তিনি মাস্ক দেশে বাধ্যতামূলক করার পথেই হাঁটছেন। এ বিষয়ে তিনি ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
বাইডেন জানান, মাস্ক পরতে বলা কখনওই কাউকে অস্বস্তি প্রদান করেনা। মাস্ক পরলে কারও কাছ থেকে কিছু কেড়ে নেওয়াও হয়না। বরং মাস্ক কিছু ফিরিয়ে দেয়। যাকে বলা হয় স্বাভাবিক জীবন।
মার্কিন সংস্থা ফাইজার সবে জানিয়েছে তারা যে টিকা তৈরি করছে তা করোনা রুখে দিতে ৯০ শতাংশের ওপর সক্ষম। এই খবরকে সদর্থক বলে ব্যাখ্যা করেছেন জো বাইডেন।
সেইসঙ্গে বাইডেন এটাও জানিয়েছেন কোনও টিকা মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে মান্যতা পাওয়ার পরও বেশ কিছু মাস সকলের জন্য সহজলভ্য হবে না। তাই মাস্ক এখনও জরুরি।
বাইডেন দেশবাসীকে সতর্ক করে জানান এখনও কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন যা পরিস্থিতি তাতে সামনের কয়েক মাসে আমেরিকায় করোনায় ২ লক্ষের ওপর মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। আর তা হবে টিকা প্রদানের আগেই। তাই সতর্ক হতেই হবে দেশবাসীকে।
এখনও পর্যন্ত ১ কোটি পেরিয়ে গিয়েছে মার্কিন মুলুকে সংক্রমণ। মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ৩৭ হাজার মানুষের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা