এ বছর বন্ধ থাকছে রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী জয়দেব কেন্দুলি মেলা
এবছর হচ্ছেনা রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী জয়দেব কেন্দুলি মেলা। বীরভূম জেলা প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তবে সামান্য সংখ্যক মানুষকে অজয় নদে পুণ্যস্নানে অংশ নিতে দেওয়া হবে।
প্রতিবছর মকরসংক্রান্তির পুণ্য দিনে গঙ্গাসাগরে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় জমে। চলতি বছরে সেই মেলা হবে কিনা তা নিয়ে দোলাচল ছিল। তবে শুক্রবারই পরিস্কার হয়ে গেছে যে এই মেলা হচ্ছে।
কিন্তু এই বাংলার মাটিতেই মকরসংক্রান্তির দিন আরও এক ঐতিহ্যবাহী মেলা কিন্তু বন্ধ করে দিল বীরভূম জেলা প্রশাসন। শতাব্দী প্রাচীন বীরভূমের ইলামবাজারের জয়দেব গ্রামে অজয় নদীর ধারে বসা জয়দেব কেন্দুলি মেলা এবার হচ্ছেনা।
মেলা এ বছরের মত বন্ধ রাখা হয়েছে। গীতগোবিন্দ-এর কবি জয়দেবের জন্মস্থান হিসাবেই এই স্থান পরিচিত। প্রতিবছর এখানে আউল, বাউল, ফকিরদের সমাগম হয়। বাউলদের তীর্থস্থান বলা হয় এই জয়দেব কেন্দুলি মেলার চত্বরকে।
প্রতিবছর জয়দেব কেন্দুলি মেলাতেও লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় জমে। ভারতের অন্যতম প্রধান মেলা এটি। অজয় নদের জলে চলে মকরসংক্রান্তির পুণ্যস্নান। সেইসঙ্গে সারারাত ব্যাপী মেলায় যেমন নানা জিনিসের পসরা সাজিয়ে বিক্রেতারা ভিড় জমান, তেমনই শত শত আখড়া তৈরি হয় এখানে।
সেখানে দিবারাত্র চলে বাউল গান, কীর্তন। বহু মানুষ বাউল গানের টানে সারা রাত ধরে অজয়ের ধারের কড়া শীতকে উপেক্ষা করে ঘুরে বেড়ান তাঁবুতে তাঁবুতে।
বাউলের মেঠো সুর মন জুড়ে এক আবেশ তৈরি করে। আবেশ তৈরি করে সার্বিক পরিবেশ। তার সঙ্গে বিকিকিনি চলে ২ দিন ধরে। এই মেলা ঘিরে বহু দূর দূরান্ত থেকে মানুষ হাজির হন অজয়ের ধারে।
এবার সার্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বীরভূম জেলা প্রশাসন কোনও ঝুঁকি না নিয়ে মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তবে স্থায়ী আখড়াগুলিকে হয়তো অনুমতি দেওয়া হবে। তাছাড়া কিছু মানুষকে পুণ্যস্নানে অংশ নিতেও দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।