একটি পোস্টারের অসাধারণ সৃজনশীলতা নিয়ে চর্চাটা সবে শুরু হয়েছিল। সিনেমা কেমন সেসব পরের কথা, রাস্তায় পোস্টার দেখে অনেকেরই চোখ আটকে গিয়েছিল। মনে মনে তারিফ করেছিলেন ভাবনার। অনেকেই বলছিলেন কী কাজ! অপূর্ব! অসাধারণ! কিন্তু সেই ফুলতে থাকা বেলুনের সব হাওয়া চুপসে দিলেন হাঙ্গেরির এক ভিজুয়াল আর্টিস্ট। এতদিন যাঁরা তারিফ করছিলেন তাঁরাই এখন বিরক্ত হয়ে বলছেন, ও এই ব্যাপার!
গত ২৬ জুলাই মুক্তি পেয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াত, রাজকুমার রাও অভিনীত একতা কাপুরের বালাজি মোশন পিকচার্স প্রযোজিত ‘জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া’ সিনেমাটি। তারই একটি পোস্টারে দেখা যায় কঙ্গনার একটি চোখকে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে বিড়ালের চোখের সঙ্গে। ভাবটা এমন যেন নিজের হাতের আঙুলেই ধরা রয়েছে চোখের মণি। যা আসলে বিড়ালের। আর বিড়ালের কান যেন তাঁর হাতের আঙুল। এই পোস্টার নিয়ে রীতিমত চর্চা চলছিল। কিন্তু হাঙ্গেরির খ্যাতনামা ফ্রিলান্সার ভিজুয়াল আর্টিস্ট ফ্লোরা বরসি দাবি করেছেন এটা তাঁর সৃজনশীলতা। তাঁর ভাবনা। যা চুরি করা হয়েছে এই সিনেমায়। আর তা করার আগে একবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্ত করা হয়নি।
ফেসবুকে নিজের পাতায় রীতিমত ধিক্কার জানিয়েছেন বরসি। তাঁর সেই উদ্ভাবনী ভিজুয়াল আর্টের ছবিটিও তিনি পোস্ট করেছেন। পোস্টারের ছবি ও তাঁর আসল ছবি পাশাপাশি দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন কীভাবে এটি নকল করা হয়েছে। হুবহু নকল করার অভিযোগে তিনি রীতিমত সরব হয়েছেন। বরসি এমন একটা নাম যাঁকে অনেকেই চেনেন। তাঁর কাজের বিভিন্ন দেশে প্রদর্শনী হয়।
এমন একজন শিল্পী যেভাবে ফেসবুকে সোচ্চার হয়েছেন তাতে গোটা বিশ্বের কাছেই জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া টিমের মুখ পুড়ল। তাঁর শিল্পকে এই পোস্টারে চুরি করা হয়েছে বলে সরাসরি অভিযোগ করেছেন বরসি। যদিও এ বিষয়ে পাল্টা বালাজি মোশন পিকচার্সের তরফে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু এই খবরটা নিয়ে হাসাহাসি শুরু হয়ে গিয়েছে। একদম হুবহু নকল! টিনসেল টাউনেরই অনেকে এখন মুখ টিপে হাসছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা