ব্যাঙের মিলন না হলে জুরাসিক পার্কের ডাইনোসরদের এত জীবন্ত লাগত না
সব প্রাণির মতই ব্যাঙেরও স্ত্রী পুরুষ মিলিত হয়। এই ব্যাঙের মিলনই কিন্তু জুরাসিক পার্ক সিনেমাটিতে ডাইনোসরদের এত জীবন্ত লাগার অন্যতম কারণ।
স্টিভেন স্পিলবার্গের সিনেমা জুরাসিক পার্ক চলচ্চিত্রের জগতে একটি মাইলস্টোন সন্দেহ নেই। ছোটরা তো বটেই, এমনকি সব বয়সের মানুষকেই সমান আনন্দ দেয় এই ডাইনোসরদের সিনেমা। জুরাসিক পার্কে ডাইনোসরদের এতটাই জীবন্ত মনে হয়েছিল যে অনেকে সিনেমা হলে পর্দায় ডাইনোসরদের ছুটে আসা বা ডাক শুনে ভয়ও পেয়েছেন।
সিনেমাটির বিপুল সাফল্যের এটাই বড় প্রাপ্তি যে মানুষ হলে বসেই পৌঁছে যেতে পেরেছিলেন সেই জুরাসিক পার্কের জঙ্গলে। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই যে স্ত্রী ও পুরুষ ব্যাঙের শারীরিক মিলন জুরাসিক পার্ক সিনেমাকে এতটা জীবন্ত করে তুলেছিল।
এখানে মনে হতেই পারে যে জুরাসিক পার্কে তো ব্যাঙের মিলন দেখানো হয়নি! তার সঙ্গে ডাইনোসরের সিনেমাটির কি সম্পর্ক? কিন্তু সম্পর্ক রয়েছে।
জুরাসিক পার্ক সিনেমায় হাড় হিম করে দিয়েছিল বিশাল চেহারার ডাইনোসরগুলির ডাক। যেগুলি হিংস্র, সামনের পা ছোট, পিছনের পা বড় এবং দ্রুত শিকারের দিকে ছুটে আসতে সক্ষম।
সেই ভেলোসিব়্যাপটরগুলির ডাক শুনে দর্শকদের বুক দুরুদুরু করলেও তা আসলে ছিল ব্যাঙের মিলন কালের ডাক। ব্যাঙরা মিলনের সময় এমন আওয়াজ বার করে।
সেই আওয়াজ রেকর্ড করেছিলেন সিনেমার সাউন্ড ডিজাইনার। যদিও তিনি স্ত্রী ও পুরুষ ব্যাঙের মিলনের শব্দ রেকর্ড করার পাশাপাশি ঘোড়ার নিঃশ্বাসের আওয়াজও রেকর্ড করেছিলেন।
যেটা বেশি বিশ্বাসযোগ্য হবে, সেটাই ডাইনোসরের ডাক হিসাবে ব্যাবহার করবেন বলে এই শব্দ সংগ্রহ করেন সাউন্ড ডিজাইনার। শেষপর্যন্ত ব্যাঙের মিলনের শব্দই মান্যতা পায়। যা সিনেমা হলে দর্শকদের মধ্যে শিহরণ জাগাতে পেরেছিল।