বিশ্বে এই প্রথম, ভারতীয় কিশোরীর পা ছুঁল ৭টি বিরল বিন্দু
বিশ্বে এই বয়সে এ কাজ কেউ করে দেখাতে পারেনি। কোনও কিশোরীর পক্ষেই একাজ সম্ভব হয়নি। যা এক ভারতীয় কিশোরী করে দেখাল। লিখে ফেলল এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস।
ভারতের তরুণ প্রজন্ম চমকের পর চমক দেখিয়ে চলেছে। এবার সেই তালিকায় নিজের নাম লিখে দিল মুম্বইয়ের কিশোরী কাম্যা কার্তিকেয়ন। ১৭ বছর বয়সে সে যা করে দেখাল তা চিরকাল মনে রাখবে বিশ্ব।
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী কাম্যা তার বাবার সঙ্গে পৌঁছে গেল অ্যান্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট ভিনসেন্ট-এর চুড়োয়। আর এই শৃঙ্গ জয়ের সঙ্গে সঙ্গে সে বিশ্বে একটি কাজ এত কম বয়সে এই প্রথম করে ফেলল।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে সে ছুঁয়ে ফেলল বিশ্বের ৭টি মহাদেশের ৭টি সর্বোচ্চ শৃঙ্গের মাথা। এশিয়ার এভারেস্ট, আফ্রিকার মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো, ইউরোপের মাউন্ট এলব্রস, দক্ষিণ আমেরিকার মাউন্ট অ্যাকনকাগুয়া, উত্তর আমেরিকার মাউন্ট ডেনালি এবং অস্ট্রেলিয়ার মাউন্ট কোজিওস্কো, এর প্রতিটির শীর্ষ বিন্দুতে পা রাখা আগেই সেরে ফেলেছিল কাম্যা। বাকি ছিল অ্যান্টার্কটিকার ভিনসেন্টের মাথায় পা রাখা। সেটাও এবার করে ফেলল সে।
মুম্বইয়ের নেভি চিলড্রেন স্কুলের ছাত্রী কাম্যা তার বাবা কমান্ডার এস কার্তিকেয়নের সঙ্গেই পাহাড়ে চড়ে। মেয়েকে এই ঐতিহাসিক সাফল্যে পৌঁছে দিতে তার বাবার অবদান নেহাত কম নয়।
কাম্যার এই সাফল্য ভারতকেও পাহাড়ে চড়ার দুনিয়ায় এক নতুন ইতিহাসে জায়গা করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত কাম্যা মাত্র ১৬ বছর বয়সেই এভারেস্ট জয় করতে সমর্থ হয়েছিল।
৭ মহাদেশের ৭টি সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করে মাত্র ১৭ বছর বয়সেই কাম্যা বিশ্বের প্রথম সবচেয়ে কমবয়সী নারী হিসাবে এই বিরল কৃতিত্ব অর্জন করল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা