কিশোর মনে একটা অ্যাডভেঞ্চার প্রবণতা কাজ করে। একটা সিনেমা দেখার টানে সেই অ্যাডভেঞ্চারকে একেবারে অনৈতিকভাবে ব্যাবহার করছে কিছু কিশোর কিশোরী। এমনই তথ্য সামনে এনেছে সংবাদ সংস্থা আইএএনএস। সংবাদ সংস্থা জয়পুরে বিভিন্ন কিশোর কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে কবীর সিং সিনেমাটি দেখার জন্য তারা অনেকেই মুহুর্তে বদলে ফেলছে আধার তথ্য। কিন্তু আধার তথ্য পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ছে কেন? কবীর সিং সিনেমাটি দেশ জুড়ে সাড়া ফেলেছে। কিন্তু সিনেমাটিকে ‘এ’ অর্থাৎ ‘অ্যাডাল্ট’ তকমা দিয়েছে ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ড। তারমানে ১৮ বছরের কম বয়সীরা এই সিনেমা দেখতা পারবে না। সেখানেই মুশকিলে পড়ছে কিশোর কিশোরীরা। ১৮ না হওয়ায় তাদের সিনেমা হলে ঢুকতে দেওয়া নাও হতে পারে, সেই আশঙ্কায় তারা মোবাইলের একটি অ্যাপ ব্যাবহার করে বদলে ফেলছে আধার তথ্য। সেখানে নিজেদের ১৮ বছর পার করা হিসাবে দেখিয়ে দিচ্ছে তারা। তারপর অবলীলায় ঢুকে পড়ছে হলে।
কিশোর কিশোরীরা নিজেই সংবাদ সংস্থার কাছে স্বীকার করেছে যে তারা তথ্য বদলে এভাবে কবীর সিং দেখেও ফেলেছে। আবার অনেকে বুক মাই শো অ্যাপ থেকে টিকিট কেটেছে। তাদের কাছে ওই অ্যাপ বয়স জানতে চায়নি। কেবল টিকিট বিক্রি করেছে। যদিও ওই অ্যাপটির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁরা পপআপের মাধ্যমে জানিয়ে দেন এ সার্টিফিকেট থাকলে ১৮ বছরের নিচে সিনেমা দেখার অনুমতি পাবে না। কিন্তু তাঁদের যুক্তি কেউ অনলাইনে টিকিট কাটতে চাইলে তাঁরা তাঁর কাছে বিস্তারিত তথ্য চাইতে পারেন না।
কিশোর কিশোরীরা আরও জানিয়েছে তারা অনেক হলে সোজা ঢুকে গেছে কিন্তু তাদের কেউ আটকায়নি। আর যেখানে আটকেছে সেখানে আধারের ভুল তথ্য দেখিয়ে ঢুকে পড়েছে তারা। বিষয়টি হয়তো জয়পুরে দেখা গেছে। কিন্তু এটা সারা দেশ জুড়েই হয়তো চলছে বলে মনে করছেন বিভিন্ন মহলের মানুষজন। ফলে এ বিষয়ে প্রশাসন, সিনেমা হলের মালিক, মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ সকলের সচেতন হওয়ার সময় হয়তো এসেছে। কারণ অ্যাডাল্ট সার্টিফিকেট দেওয়াই তো হচ্ছে যাতে ওই সিনেমায় দেখানো কোনও দৃশ্যের প্রভাব কিশোর মনে ভুলভাবে না পড়ে। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে বজ্র আঁটুনিতে ফস্কা গেরো! — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা