জন্মাষ্টমীর দিন কচুয়ায় লোকনাথ বাবার মন্দিরে প্রচুর মানুষের ঢল নামে। বাঁক কাঁধে জল নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ হাজির হন সেখানে। শুক্রবার রাতে মন্দিরে প্রবল ভিড় উপচে পড়ে। এই ভিড়ের জন্য প্রস্তুত ছিল না পুলিশ। অপরিসর রাস্তা ধরে ওই বিশাল ভিড় লোকনাথ বাবার মন্দিরের মূল ফটকের দিকে এগোতে যায়। তখনই ভিড়ের চাপে রাস্তার ধারের অস্থায়ী দোকানগুলি ভাঙতে শুরু করে। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে একটি ইটের পাঁচিলও। একে চাপাচাপি ভিড়। তারমধ্যে এমন কাণ্ডে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। অনেকেই টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান। পদপিষ্ট হন অনেকে। বেশ কয়েকজন পাশের পুকুরের জলেও পড়ে যান। দ্রুত ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। স্থানীয় মানুষও হাত লাগান। পদপিষ্টদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বারাসতের হাসপাতাল ছাড়াও কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয় ৯ জনকে। এই ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত প্রায় ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। আবার অন্য বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মাঝরাতে এমন কাণ্ডের পর সেখানে আরও পুলিশে মোতায়েন করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার সকালেও তা বজায় ছিল। বজায় ছিল গত রাতের সেই দুর্ঘটনার সময়ের চিহ্ন। যদিও শুক্রবার সকাল থেকে পুণ্যার্থীর ভিড় জমেছে এখানে। কেউ বাঁক কাঁধে, কেউ ডাবের জল নিয়ে হাজির হয়েছেন বাবা লোকনাথের মন্দিরে।
উত্তর ২৪ পরগনার কচুয়ার লোকনাথ মন্দিরে প্রতি বছরই জন্মাষ্টমীর দিন প্রচুর মানুষের ঢল নামে। এবারও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু সন্ধে থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হওয়ায় অনেকে বাঁক কাঁধে বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েন। ফলে দুর্যোগ কিছুটা থামতে তাঁরা ফের কচুয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। যার জেরে মধ্যরাতে বিভিন্ন কোণা থেকে প্রচুর পুণ্যার্থী প্রায় একই সময়ে কচুয়ায় হাজির হন। মধ্যরাতে পুণ্যার্থীদের প্রবল ভিড় উপচে পড়ে। আচমকা অতিরিক্ত ভিড়ই এই দুর্ঘটনার কারণ বলে মনে করছে প্রশাসন।