বলিউডের এক অন্যতম নক্ষত্র ছিলেন তিনি। একাধারে তিনি একজন লেখক, অভিনেতা, পরিচালক, কৌতুক অভিনেতা। আর এর প্রতিটি ক্ষেত্রেই সফল তিনি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁর নিজস্বতার ছাপ স্পষ্ট। তাঁর লেখা ডায়লগে প্রেক্ষাগৃহ ফেটে পড়েছে হাততালিতে। তাঁর আরও একটি গুণ ছিল। তিনি ছিলেন একজন কোরান পণ্ডিত। মুসলিম ধর্মগ্রন্থ কোরানের ওপর ছিল তাঁর দুরন্ত দখল। সেই মানুষটির নাম কাদের খান। যাঁকে এক ডাকে চেনে গোটা ভারত। কখনও ভিলেন হিসাবে তো কখনও কৌতুক অভিনেতা হিসাবে তিনি দর্শকদের মনে নিজের ছাপ রেখেছেন বারবার। সেই কাদের খান চলে গেলেন। দীর্ঘ রোগভোগের পর মঙ্গলবার ভোরে ভারতীয় সময় ৪টেয় তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছে তাঁর পরিবার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
গত ৫ দিন ধরে বারবার কাদের খানের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমন পরিস্থিতি হয় যে তাঁর ছেলেকে ৩১ ডিসেম্বর জানাতে হয় তাঁর বাবা বেঁচে আছেন। যা রটছে তা ভুল। তবে মঙ্গলবার সব জল্পনার অবসান হয়। টরেন্টোর এক হাসপাতালে কাদের খানের মৃত্যু হয়। সেখানেই তাঁকে কবর দেওয়া হবে বলে তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়।
১৯৩৭ সালে আফগানিস্তানের কাবুলে এক পাস্তুন পরিবারে জন্ম হয় কাদের খানের। কলেজে পড়তে চলে আসেন মুম্বই। অভিনেতা হিসাবে তাঁর প্রথম সিনেমা ছিল দাগ। ১৯৭৩ সালের সেই সিনেমা দিয়ে শুরু করে জীবনে ৩০০-র ওপর সিনেমায় অভিনয় করেছেন কাদের খান। ২৫০টির বেশি সিনেমার গল্প বা চিত্রনাট্য লিখেছেন। উর্দু ভাষার ওপর তাঁর দখল ছিল অনবদ্য।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)