৫ বছর পর বরফ গলল, বর্ষাতেই হয়তো মানসসরোবরের জল ছুঁয়ে কৈলাস দর্শনের সুযোগ
৫ বছর ধরে কোনও উচ্চবাচ্য নেই। তাই অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন এ সুযোগ হয়তো আর পাওয়া যাবেনা। কিন্তু ফের বরফ গলল।

২০২০ সালে গোটা বিশ্ব এক ভয়ংকর পরিস্থিতির শিকার হয়। কোভিড সংক্রমণের জেরে অনেক অবাঞ্ছিত প্রতিবন্ধকতা সামনে এসে দাঁড়ায়। যেমনটা হয়েছিল মানসসরোবর যাত্রায়। তিব্বতের লাসা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে মানসসরোবর যেমন এক চোখ জুড়িয়ে দেওয়া হ্রদ, তেমনই এক তীর্থস্থানও।
ভারত থেকেই সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রতিবছর কৈলাস মানসসরোবর যাত্রা করতেন। ১৯৮১ সাল থেকে উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস দিয়ে মানসসরোবরে পৌঁছতেন তাঁরা। ২০১৫ সালে দ্বিতীয় রুটও খুলে যায়।
সিকিমের নাথুলা পাস দিয়েও শুরু হয় তিব্বতের মানসসরোবরে পৌঁছনো। দুর্গম পথ হলেও বহু মানুষই জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কৈলাস মানসসরোবর যাত্রা করতেন।
যেহেতু মানসসরোবর এখন চিনের নিয়ন্ত্রণাধীন, তাই চিনের সঙ্গে ভারত সরকার কৈলাস মানসসরোবর যাত্রা নিয়ে প্রয়োজনীয় দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা করেই রেখেছিল। যা কোভিড শুরুর পর বন্ধ হয়ে যায়। চিন তা বন্ধ করে ভারতীয়দের জন্য।
২০২০ সাল থেকে তাই কৈলাস মানসসরোবর যাত্রা বন্ধ হয়েই ছিল। এভাবে ৫ বছর কাটার পর এই বছর কিন্তু চিনের সঙ্গে কৈলাস মানসসরোবর যাত্রা নিয়ে কথা বলা শুরু করে ভারত।
২ দেশই মানসসরোবর যাত্রা ফের চালু করা নিয়ে সহমত হয়েছে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। কিছুদিনের মধ্যেই চলতি বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কৈলাস মানসসরোবর যাত্রা নিয়ে ইচ্ছুক ভারতীয়দের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা