কালীপুজোর সকাল মানে সাধারণভাবে রোদ ঝলমলে একটা পরিবেশ। বাতাসে হাল্কা উত্তুরে হওয়ার প্রভাব। তারমধ্যেই সকাল থেকে মাইকে পান্নালাল ভট্টাচার্যের বহুল পরিচিত শ্যামাসংগীত। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে তোড়জোড়। ফুলের দোকানে ভিড়। বাজি শুকোতে দেওয়া। রাতের রংবাজির জন্য বাজির গায়ে দিনভর রোদ লাগিয়ে নেওয়া। বৃহস্পতিবারও এ সবই ছিল। ছিলনা শুধু পুজোর আকাশটা। রোদ ঝলমলে দিনটা।
এদিন সকালে কিছুটা রোদের দেখা মিললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উধাও রোদ। আকাশে মেঘের আনাগোনা। কোথাও কোথাও দু-এক পশলা বৃষ্টি ভিজিয়ে দিয়ে যায় প্যান্ডেল, রাস্তা। বেশ একটা বর্ষা বর্ষা ভাব। আবার মাঝেমধ্যে রোদের উঁকিঝুঁকি। যা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি বঙ্গবাসী। কালীপুজোর আবহটাই কোথায় যেন মার খাচ্ছে। তবে তারজন্য প্রস্তুতিতে খামতি নেই। সন্ধে নামলেই কালী আরাধনা। তার আগে শেষ মুহুর্তের যাবতীয় খুঁটিনাটি জিনিস কিনতে সকাল থেকেই ছিল দোকানে বাজারে ভিড়। ভিড় ছিল বাজির দোকানেও। সবমিলিয়ে শ্যামাসংগীতের সুর আর কালীপুজোর আনন্দে মাতোয়ারা শহরবাসী। তবে কোথাও একটা খচখচানি নিয়ে। আবহাওয়াটা যদি একটু ভাল হত। অনেকের মনে প্রশ্ন, রাতে বাজি পোড়ানোটা যাবে তো? নাকি সেটাও মাটি করে দেবে বৃষ্টি!