কালীপুজো ও কালীপুজোর পরদিন শহরের সন্ধেটা কেটেছে ঝোড়ো হাওয়া আর প্রবল বৃষ্টিতে। ফলে মন চাইলেও ঠাকুর দেখা হয়নি কলকাতাবাসীর। মন খারাপ করে নিম্নচাপকে দোষারোপ করেই কেটেছে দুদিন। ভাইফোঁটার দিন সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার থাকলেও বৃষ্টি তেমন হয়নি। কারণটাও পরিস্কার। ক্রমশ উত্তরপূর্বে সরছে নিম্নচাপ। যার জেরে মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির প্রকোপ বেড়েছে। কমেছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
বিকেল পর্যন্ত আকাশে মেঘের কিন্তু খামতি ছিল না। দমকা বাতাসও ছিল দিনভর। শুধু বৃষ্টিটা হয়নি। সেই সুযোগ পুরাদস্তুর কাজে লাগিয়েছেন শহরবাসী। সন্ধে নামতেই ভেজা আবহাওয়াকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেড়িয়ে পড়েন ঠাকুর দেখতে।
ফাটাকেষ্ট থেকে সোমেন মিত্রের কালী পুজো, বউবাজার থেকে জানবাজারের কালী প্রতিমা দর্শন, কোথাও তিল ধারণের জায়গা ছিল না। ভিড় তার নিজের মত করেই ঠাকুর দেখেছে। রবিবার প্রায় সব মণ্ডপই ফাঁকা হয়ে যাবে। তার আগে শেষ সন্ধে, শেষ সুযোগ। আর সেটাই চেটেপুটে উপভোগ করলেন কলকাতাবাসী। যার জেরে শেষবেলায় হাসিও ফুটেছে উদ্যোক্তাদের মুখে। গত দুদিন প্যান্ডেলে ভিড় না দেখে মন খারাপও অনেকটাই কাটিয়ে দিয়েছে ভাইফোঁটায় ঠাকুর দেখার ভিড়।