ভাইফোঁটা ছিল শনিবার। আর শনিবার কালী প্রতিমা নিরঞ্জনে অনেক বারোয়ারির আপত্তি থাকে। সুযোগও ছিল। ভাইফোঁটার পরদিন রবিবার পরাটা একটা বাড়তি সুবিধা করে দিয়েছিল। ফলে কার্যত গোটা কলকাতার বারোয়ারি কালীপুজোর ভাসান হল রবিবার। সন্ধে নামতেই বিভিন্ন রাস্তায় শোভাযাত্রা সহকারে শুরু হয় ভাসানপর্ব। এদিন সন্ধের পর রাস্তায় বাস ছিল নামমাত্র। গাড়ির সংখ্যাও ছিল কম। ফলে অনেকের গন্তব্যে পৌঁছতে যানবাহনের সমস্যা হয়েছে। তারওপর অনেক রাস্তায় ভাসানের শোভাযাত্রা বার হওয়ায় সেখানে যানবাহনের গতি অনেকটাই শ্লথ হয়ে যায়।
এদিন সন্ধে থেকেই একের পর এক প্রতিমা গঙ্গার দিকে এগিয়ে গেছে। সামনে থেকেছে কুরকুরে, ব্যান্ড, তাসা। কোথাও আবার নজর কেড়েছে চলমান ডিজে-র বন্দোবস্ত। তারসঙ্গে পুড়েছে বাজি। চলেছে বারোয়ারির সদস্যদের নাচ। সবমিলিয়ে কালীপুজোর ভাসানপর্বের চেনা ছবিই এদিন ধরা দিয়েছে কলকাতা জুড়ে।
রবিবারই সিংহভাগ ঠাকুর ভাসান হওয়ায় গঙ্গার পাড়েও ছিল নজর কাড়া ভিড়। রাস্তায় লাইন পড়ে যায় প্রতিমার। বহু মানুষকে রাস্তার দুধারে দাঁড়িয়ে বিসর্জন দেখতে দেখা গেছে। সোমবার থেকে দৈনন্দিন কর্মময় জীবনের শুরু। তার আগের সন্ধেয় উৎসবের শেষ মুহুর্তটা বিসর্জনের আনন্দে চুটিয়ে উপভোগ করে নিল কলকাতা।