তিথি অনুযায়ী শনিবার সকালে থাকছে চতুর্দশী। যা রাজ্যে ভূত চতুর্দশী নামেই অধিক পরিচিত। পরম্পরা মেনে অনেক বাড়িতেই তাই এদিন মধ্যাহ্নভোজে চোদ্দশাকের আয়োজন। সন্ধেয় চোদ্দবাতিও দেওয়ার রীতি রয়েছে। বংশের চোদ্দপুরুষের উদ্দেশ্যে চোদ্দবাতির চল আজকের নয়। বংশ পরম্পরায় এই রীতি চলে আসছে। কিন্তু সাধারণভাবে কালীপুজোর দিনই ভুত চতুর্দশী পড়েনা। থাকে তার আগের দিন।
কিন্তু এবার তিথি অনুযায়ী কিছু বদল এসেছে। শনিবারই আবার রাতে অমাবস্যা পড়ে যাওয়ায় হবে কালীপুজো। সাধারণভাবে কালীপুজো সারারাতের পুজো। ফলে সকাল থেকে তারই তোড়জোড়ে ব্যস্ত বারোয়ারিগুলি। যেসব বাড়িতে পুজো হয় বা যেসব মন্দিরে পুজো হয়, সেখানেও তৎপরতা তুঙ্গে। অনেক জায়গায় রাত জেগেও প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করার কাজ চলেছে। শেষ কয়েকদিন ধরে বাজির দোকানগুলিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। সেই ভিড় শনিবার সকাল থেকেই নজর কেড়েছে। সব মিলিয়ে আলোর উৎসবে মেতে উঠতে তৈরি বঙ্গবাসী।