কেউ বা ঘরের জানালায়, কেউবা ছাদে, কেউবা বারান্দায়। খবরের কাগজ পেতে তাতে ছড়ানো নানা বাহারি বাক্স। কোনওটা লম্বা, কোনওটা চৌকো, কোনওটার আবার অন্য ধরণ। আর সেসব বাক্স থেকে উঁকি মারছে ফুলঝুরি, রংমশাল, তুবড়ি, ইলেকট্রিক তার, হাউই, চরকি সহ নানা রকমের বাজি। রোদ খাইয়ে বাজিকে তরতাজা করে নেওয়ার জন্য এদিন বিকেল পর্যন্ত সময়। তারপরই সন্ধে নামলে সব গুটিয়ে কোমর বেঁধে বাজি পোড়ানো। আর কালীপুজোর অন্যতম আকর্ষণ এই বাজির রোশনাইতে মেতে উঠতে এবার পুরোদমে তৈরি শহর।
এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাত ৮টা থেকে ১০টা, এই ২ ঘণ্টাই বাজি পোড়ানোর সময়। তার বাইরে বাজি পোড়ালে পুলিশ পদক্ষেপ করতে পারে। সকলকে বাজি পোড়ানোর বাঁধা সময় সম্বন্ধে অবহিত করতে বিভিন্ন এলাকায় ২ দিন আগে থেকেই পুলিশ মাইকিং শুরু করেছে। সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে পুলিশের মাইকিং বা মানুষের মুখে মুখে ছড়ানো বার্তা। মোটামুটি শহরের ছোটরাও জেনে গিয়েছে এবার বাজি পোড়ানো যখন তখন নয়। কেবল ৮টা থেকে ১০টা। সেইমতই তৈরি তারা। তবে বাজি কেনায় কোনও খামতি নেই। বাজি বাজারের অনেক দোকান ইতিমধ্যেই স্টক শেষ করে ফেলেছে। তাদের কাছে গেলেও আর পছন্দের বাজি মিলছে না। যদিও এবার দীপাবলি বুধবার হওয়ায় ওদিন পর্যন্ত বাজি বাজার বসবে।