গত বুধবার থেকে টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল হতে হয়েছে রাজ্যবাসীকে। অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন যা অবস্থা তাতে কালীপুজোর আনন্দ বুঝি জলে গেল। যদিও আবহাওয়া দফতর আশ্বাস দিয়েছিল রবিবার থেকে ঝলমলে হবে আকাশ। হলও তাই। শুক্রবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টির পর শনিবার থেকে আকাশ পরিস্কার হয় ঠিকই। কিন্তু রোদ তেমন ওঠেনি। বরং মাঝেমধ্যেই আকাশ ছেয়ে গেছে পুরু মেঘে। তারমধ্যেই কালীপুজোর প্রস্তুতি সেরেছেন সকলে। কিন্তু রবিবার সকালে ঘুম ভেঙেছে ঝলমলে রোদে। একদম হেমন্তের পরশ নিয়ে রবিবার দিন শুরু হয় সকলের।
রবিবার সারাদিনই অমাবস্যা। সকাল থেকেই বিভিন্ন কালীমন্দিরে ভক্তদের ঢল নামে। ভাল আবহাওয়ায় মন ভাল করা একটা উৎসবের দিন পেয়েছেন সকলে। সারারাতের এই শক্তি আরাধনায় এদিন সকাল থেকেই তাই তৈরি গোটা শহর। ঝলমলে আকাশ। বাতাসে হেমন্তের গন্ধ। বেশ সুন্দর আবহাওয়া। আর ঝলমলে আবহাওয়া মানেই উৎসবের মেজাজে মৌতাত।
শহর কলকাতার বড়বড় কালীপুজোর উদ্বোধন হয়ে গেছে বৃষ্টির মধ্যেই। কালীপুজোর দিন সকালে প্রায় সব মণ্ডপই তৈরি। সর্বত্রই ঝলমল করছে কালী প্রতিমা। কিছু প্যান্ডেলে বাড়তি আকর্ষণ মায়ের দুপাশে ডাকিনী-যোগিনী। আবার কিছু প্যান্ডেলে এদিন সকালেও নজরে পড়েছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। প্রস্তুত বারাসতের বিখ্যাত বারোয়ারি কালীমণ্ডপগুলি। এছাড়া কলকাতার ফাটাকেষ্ট, সোমেন মিত্র, জানবাজারের কালী প্রতিমা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে বাড়তি উন্মাদনা তো থাকেই।
এবার তিথি মেনে কালীপুজো ও দিওয়ালী পড়েছে একই দিনে। অনেক সময়ই অবশ্য একই দিনে পড়ে। ফলে ভাইফোঁটা মঙ্গলবার। বুধবার থেকে সামনের সপ্তাহে স্কুল, কলেজ, অফিস পুরোদমে চালু হচ্ছে। যদিও রাজ্য সরকারি অফিস শুরু হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে। তার আগে কালীপুজো থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত চুটিয়ে আনন্দে খামতি রাখতে চাইছেন না কেউই। গোটা বাংলা তাই এদিন উৎসবে মাতোয়ারা।