এই বিখ্যাত কালীমন্দিরে মা কালী কেন কোনও বিগ্রহই নেই
মন্দিরে গিয়ে এক বিগ্রহের দর্শন করে তাঁকে শ্রদ্ধা ভক্তি জ্ঞাপন করেন ভক্তেরা। পুজো দেন। কিন্তু এই বিখ্যাত কালী মন্দিরে এমন সুযোগ নেই। কারণ মন্দিরে কোনও বিগ্রহই নেই।
তখন ৩ রাক্ষস শুম্ভ, নিশুম্ভ ও রক্তবীজের অত্যাচারে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে। স্কন্দ পুরাণ বলছে কালীমঠ মন্দিরের পাশে ৮ কিলোমিটার একটি খাড়াই পাথরের ওপর একটি পায়ের ছাপ রয়েছে। যা মা কালীর পায়ের ছাপ। যা কালী শিলা নামে পরিচিত।
এখানেই মা দুর্গারও জন্ম হয়। ১২ বছরের বালিকার বেশে মা দুর্গা সকলের সামনে আসেন। তিনিই শুম্ভ, নিশুম্ভ ও রক্তবীজকে বধ করে ওই এলাকাকে রাক্ষসের অত্যাচার থেকে মুক্ত করেন। এখানে অবস্থিত কালীমঠ মন্দির।
এমন মন্দির ভারতে বোধহয় একটাই। যে মন্দির এক কালীমন্দির হিসাবে প্রসিদ্ধ, কিন্তু মন্দিরের কোথাও কোনও বিগ্রহ নেই। তবু সারাবছর এ মন্দিরে ভক্তের ঢল লেগেই থাকে।
মন্দিরের মধ্যে রয়েছে একটি কুণ্ড। সেই কুণ্ডকেই পুজো করেন সকলে। দুর্গাপুজোর সময় অষ্টমী ও নবমী তিথির সময় মন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন হয়।
সারা বছরে কেবল ওইদিনগুলিতেই কুণ্ড থেকে মা কালীকে বার করে আনা হয়। তারপর পুজো করা হয়। এই পুজো করেন প্রধান পুরোহিত। তারপর ফের এক বছর কুণ্ডকেই পুজো করে ফিরতে হয় ভক্তদের।
দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে রয়েছে এই বিখ্যাত কালীমঠ মন্দির। কথিত আছে শুম্ভ নিশুম্ভের অত্যাচারে মা ভগবতী এতটাই ক্রুদ্ধ হন যে তিনি রাগে কালো রূপ ধারণ করেন। তারপর সেই রূপেই রাক্ষসদের হত্যা করেন।
এই কালীমঠ মন্দির মা কালীর মন্দির হলেও এখানে মহালক্ষ্মী ও মহাসরস্বতীর মন্দিরও রয়েছে। সেখানেও ভক্তরা তাঁদের ভক্তি নিবেদন করেন। পুজো দেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা