শিবরাত্রি ব্রত কখনও ফাল্গুন, কখনও হয় চৈত্র মাসে। কৃষ্ণা চতুর্দশী তিথি পড়ার উপরেই নির্ভর করে মাস। এই দিন মূল পীঠ অধিষ্ঠাত্রী দেবীর মহাপীঠে প্রত্যেক পুজোর মানসী পুজো দেওয়া হয় বলি ভোগ দিয়ে এবং সেটা হয় পীঠের নিয়মানুসারে।
কামাখ্যা পাহাড়ে শিবমন্দিরগুলিতে যেমন কামেশ্বর শিব, সিদ্ধেশ্বর আম্রাতকেশ্বর প্রমুখের পুজো করা হয় শিবচতুর্দশী তিথিতে। পুজো হোমাদি ছাড়াও ওই দিন শিবের উদ্দেশ্যে ভোগ দেওয়া হয় পাঁঠা বা খাসির মাংস এবং মাছ। গোটা ভারতে একমাত্র কামাখ্যায় দেবীপীঠের শিবমন্দিরেই নিবেদিত হয় সামিষ ভোগ। এমনটা আর দেখা বা শোনা যায় না অন্য কোথাও।
আরও একটা কথা। শিবের কিন্তু দাড়ি ও গোঁফ আছে। জ্ঞানত ভারতের কোনও শিবমন্দিরে প্রতিষ্ঠিত শিবের দাড়ি গোঁফওয়ালা মূর্তি চোখে পড়েনি। কামাখ্যা মন্দিরের দেওয়ালে লক্ষ্য করলে এমন মূর্তি চোখে পড়বে। আর দেখা যাবে শ্রীমৎ কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ কৃত বৃহৎ তন্ত্রসার গ্রন্থে। ছবিটি এখানে পরিবেশিত হল। এ লেখার তথ্যসূত্র – মুক্তমুঙ্ক শিবপ্রিয়-শিবপুরাণ।
শীর্ষচিত্র – কামাখ্যা মন্দির – শিবশংকর ভারতী