World

মা ভারতীয়, মেয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে বাইডেনের পছন্দ, উচ্ছ্বসিত দেশ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো জো বাইডেন ঘোষণা করলেন কমলা দেবী হ্যারিসের নাম। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে তাঁর পছন্দের নাম হলেন কমলা।

নিউ ইয়র্ক : মা শ্যামলা গোপালন ছিলেন ভারতীয়। তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। ক্যানসার চিকিৎসার গবেষণার কাজে পাড়ি দিয়েছিলেন মার্কিন মুলুকে। সেখানেই আলাপ হয় আমেরিকায় ইকোনমিক্স পড়াতে আসা জামাইকার বাসিন্দা ডোনাল্ড হ্যারিসের সঙ্গে। তারপর বিয়ে। তাঁদের মেয়ে কমলা দেবী হ্যারিস। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে তিনি একজন মার্কিন সেনেটর। কমলা একজন আইনজীবীও। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে তাঁর পরিচিতি মার্কিন মুলুকে রয়েছে। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য কমলা দেবী হ্যারিস এবার ভারতের গর্ব হিসাবে উঠে এলেন মার্কিন রাজনীতিতে।

মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন জো বাইডেন। তিনিই এবার ঘোষণা করলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে তাঁর পছন্দ কমলা দেবী হ্যারিস। যা অবশ্যই ভারতীয়দের উচ্ছ্বসিত করেছে। কমলা দেবীর বয়স যখন ৭ বছর তখন তাঁর বাবা মায়ের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকে তিনি তাঁর মায়ের কাছেই মানুষ। কমলা মনে করেন আজ তিনি যাই হয়েছেন তা তাঁর মায়ের জন্য।


ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার পর কমলা দেবী হ্যারিস জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের স্বপ্ন পূরণই হবে তাঁর প্রধান কাজ। এই প্রথম ভারতীয় বংশ সূত্রে বাঁধা কেউ মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে পছন্দ হিসাবে সামনে এলেন। এদিকে কমলা দেবী হ্যারিস প্রার্থী হওয়ার পরই তামিলনাড়ুতে তাঁর মায়ের পরিবারে খুশি বন্যা বয়ে যায়। সকলেই ভীষণই উচ্ছ্বসিত। কারণও রয়েছে। কমলা দেবী হ্যারিস কিন্তু তাঁর মায়ের পরিবারকে ভুলে যাননি।

সময় পেলেই কমলা দেবী হ্যারিস শত ব্যস্ততার মধ্যেও তামিলনাড়ু আসেন। চেন্নাইয়ের বসন্ত নগর এলাকায় তাঁর মায়ের বাড়ি। সেখানে কমলা আসেন। সকলরে সঙ্গে দেখা করেন। যোগাযোগ রাখেন। তাঁদের বাড়ির মেয়ে কিছুদিন বাদে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে পারেন এটা ভেবেই আনন্দের সীমা থাকছে না পরিবারে। খুশি তামিলনাড়ুর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও। রাজনৈতিক নেতারা কমলা দেবীর এই উত্থানে খুশি ব্যক্ত করেছেন। তাঁদের রাজ্যের সঙ্গে কমলার যোগ। আর তিনিই কিনা মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে পারেন! এটা রাজনীতিবিদদেরও উচ্ছ্বসিত করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button