এভারেস্টের চূড়া ছোঁয়া অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন কামি
নেপালের বাসিন্দা ৪৯ বছরের কামি রিটা শেরপা প্রতি সপ্তাহে একবার এভারেস্টের চুড়োয় ঘুরে আসেন। এই মুহুর্তে তিনিই এমন এক শেরপা যিনি সর্বাধিকবার এভারেস্টে উঠেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসেও তিনিই সর্বাধিকবার এভারেস্টে চড়েছেন।
যাঁরা কর্মসূত্রে পরিবার ছেড়ে অন্যত্র থাকেন, তাঁরা চেষ্টা করেন প্রতি সপ্তাহের শেষে অন্তত একবার বাড়ি ঘুরে যেতে। আর নেপালের বাসিন্দা ৪৯ বছরের কামি রিটা শেরপা প্রতি সপ্তাহে একবার এভারেস্টের চুড়োয় ঘুরে আসেন।
এই তো গত ১৫ মে অন্য পর্বতারোহীদের নিয়ে এভারেস্টের চুড়োয় পৌঁছেছিলেন তিনি। তারপর নেমে ফের চললেন চুড়োর পানে। অবশেষে মঙ্গলবার পৌঁছে গেলেন এভারেস্টের চূড়ায়। এই নিয়ে ২৪ বার এভারেস্টের চুড়োয় উঠলেন কামি।
পর্বতারোহীদের সঙ্গে মালপত্র নিয়ে ওঠেন শেরপারা। এভারেস্টকে তাঁরা অনেকেই খুব ভাল করে চেনেন। অনেক বিপদও তাঁরা আগে থেকে আঁচ করতে পারেন। সতর্ক করেন পর্বতারোহীদের।
তবে শেরপাদের কাজ ঝুঁকির। পর্বতারোহীরা রেকর্ড গড়তে বা প্রাণের টানে যখন এভারেস্টে চড়েন তখন এই শেরপারা চড়েন তাঁদের পেটের টানে।
থেম গ্রামের বাসিন্দা কামিও রোজগারের জন্যই শেরপার কাজ বেছে নিয়েছিলেন। তারপর অনেকবারই হল এভারেস্টে চড়া। এখন কার্যত এভারেস্টে ওঠা নামা করা তাঁর অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে।
যেখানে অন্য পর্বতারোহীরা এভারেস্ট জয় করতে পারলে তাঁকে নিয়ে হৈচৈয়ের শেষ থাকেনা, সেখানে এই শেরপারা একই দক্ষতা দেখিয়েও থেকে যান অন্ধকারেই।
কামির যখন মাত্র ২৪ বছর বয়স তখন তিনি একাই এভারেস্টে চড়েন। তারপর অভিযাত্রীদের নিয়ে ওঠা। ইতিমধ্যেই এভারেস্ট ছাড়াও কে২ বা অন্নপূর্ণার মত ৮ হাজার মিটারের ওপরের শৃঙ্গ জয় করে ফেলেছেন কামি।
এখন তো হেলায় এভারেস্টে ওঠানামা করছেন তিনি। এই মুহুর্তে তিনিই এমন এক শেরপা যিনি সর্বাধিকবার এভারেস্টে উঠেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসেও তিনিই সর্বাধিকবার এভারেস্টে চড়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা