শিবসেনা কর্মীদের ধোঁকা দিয়ে বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফিরলেন কঙ্গনা রানাওয়াত
শিবসেনা কর্মীদের ধোঁকা দিয়ে মুম্বই বিমানবন্দর থেকে খার-এ নিজের বাড়িতে চলে গেলেন কঙ্গনা।
মুম্বই : কঙ্গনা রানাওয়াত শিবসেনাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন ৯ সেপ্টেম্বর তিনি মুম্বইতে পা রাখছেন। অন্যদিকে শিবসেনা জানিয়ে দিয়েছিল মুম্বই বিমানবন্দরেই শিবসেনা কর্মীদের হাতে ‘চড়’ খাবেন কঙ্গনা। শিবসেনার মহিলা কর্মীরাই তাঁকে উপযুক্ত শিক্ষা দেবেন। সেইমত এদিন তৈরিও ছিলেন শিবসৈনিকরা। চণ্ডীগড় থেকে বিমান ধরে কঙ্গনাও রওনা দেন মুম্বইয়ের উদ্দেশে। ওদিকে বেলা থেকেই মুম্বই বিমানবন্দরের ২ নম্বর টার্মিনালের বাইরে জমা হতে শুরু করেন শিবসেনা কর্মীরা।
শিবসেনা কর্মীদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। মুখে ছিল কঙ্গনা বিরোধী স্লোগান। এদিকে সকালে কঙ্গনার অফিসের অনেকটাই ভেঙে দেয় বৃহন্মুম্বই পুরসভা। যদিও পুরোটা ভাঙা সম্ভব হয়নি। তার আগেই হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ পেয়ে যান কঙ্গনা। হাইকোর্টের নির্দেশ হাতে পাওয়ার পর ভাঙার কাজ বন্ধ করে পুরসভা। তার মধ্যেই কঙ্গনা মুম্বইতে পা দিলেই যাতে তাঁকে প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয় সে ব্যবস্থা করা ছিল।
কঙ্গনা এদিন তাঁর বোনের সঙ্গে মুম্বই পৌঁছন। কেন্দ্রের বিশেষ সুরক্ষা বলয়ে তিনি বিমান থেকে অবতরণ করেন মুম্বইতে। সেখান থেকে তাঁকে বিমানবন্দরের নীল ট্যাক্সির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সুরক্ষা বলয়ের মধ্যেই ছিলেন তিনি। তারপর ২ নম্বর টার্মিনালের সামনে শিবসেনার জমায়েতের চোখে ধুলো দিয়ে তাঁকে নিয়ে অন্য একটি গেট দিয়ে বেরিয়ে যায় নীল ট্যাক্সি। ট্যাক্সিতে ৩ জন সুরক্ষাকর্মীও ছিলেন।
বিকেল সওয়া ৩টের মধ্যে কঙ্গনা খার এলাকায় তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান। সেখানেও আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। ফলে সুরক্ষা বলয়ের ঘেরাটোপেই তিনি বাড়িতে প্রবেশ করেন। কোনও প্রতিবাদের মুখে না পড়েই। এদিকে কঙ্গনার অফিস সকালেই ভাঙা হয়েছে। ফলে তিনি তাঁর অফিসে বিমানবন্দর থেকেই ছুটে যাবেন এমনটাই মনে করেছিলেন অনেকে। কিন্তু সে রাস্তায় হাঁটেননি কঙ্গনা। বরং সোজা বাড়িই ফেরেন। আপাতত সুরক্ষার ঘেরাটোপেই রয়েছেন তিনি। কেন্দ্রের দেওয়া নিরাপত্তা বলয় তাঁকে সর্বক্ষণ সুরক্ষা দিচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা