মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস। এখানেই বুধবার রাতে এক বারে বসে গল্প করছিলেন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার শ্রীনিবাস কুচিভোটলা ও অলোক মাদাসানি। আচমকাই বছর ৫১ বয়স্ক প্রাক্তন মার্কিন নৌসেনা কর্মী অ্যাডাম পুরিন্টন হাজির হয় সেই বারে। তারপর কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই শ্রীনিবাসদের জঙ্গি বলে সম্বোধন করে তাঁদের মার্কিন মুলুক থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। চালিয়ে দেয় গুলি। গুলিতে লুটিয়ে পড়েন ৩২ বছরের যুবক শ্রীনিবাস। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। অপর গুলিটি গিয়ে লাগে মাদাসানির ওপর। গুরুতর আহত মাদাসানিকে লক্ষ্য করে অপর গুলিটি চালাতে যাবে ঠিক সেই সময় মারমুখী পুরিন্টনকে আটকাতে তার ওপর লাফিয়ে পড়েন এক মার্কিন যুবক ইয়ান গ্রিলট। মাদাসানিকে ছেড়ে তার শেষ গুলিটি পুরিন্টন চালিয়ে দেয় গ্রিলটের দিকে। গ্রিলটের হাত ফুঁড়ে বুলেট ঢুকে যায় পাঁজরে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাদাসানি ও গ্রিলটকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাদাসানির স্ত্রী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামীকে বাঁচাতে পেরে বেজায় খুশি গ্রিলট। এদিকে এক ভারতীয় তরুণ ইঞ্জিনিয়ারের হত্যার ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এক্ষেত্রে পূর্ণ তদন্ত করে দোষীকে উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দিয়েছে তারা। ঘটনার পর গ্রেফতার হওয়া পুরিন্টনের বিরুদ্ধে ফাস্ট ডিগ্রি মার্ডার চার্জ দিয়ে মামলা শুরু করেছে মার্কিন পুলিশ।