এমনটাও যে হতে পারে, তা বোধহয় কেউ দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি। মানব, মানবী, গাধা, কুকুর, মুরগি, গরু কেউই নিস্তার পায়নি কিছু মানুষের আদিম যৌন লালসার গ্রাস থেকে। একথা এখন সংবাদমাধ্যমের দৌলতে সবারই জানা। এবার সেই লালসা থেকে নিষ্কৃতি পেল না নিষ্প্রাণ গাড়িও! দিনের আলোয় গাড়ির সঙ্গে এক যুবকের যৌন সঙ্গম করার চেষ্টার খবর ছড়াতেই তাই তাজ্জব বনে গেছেন আমজনতা। মুখরোচক হলেও এমন অদ্ভুত ঘটনার পর মুখে কার্যত রা সরছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য কানসাসের বাসিন্দাদের।
কদিন আগের কথা। ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল সাড়ে ১১টা বাজে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস প্রদেশের ব্যস্ততম রাস্তা ইস্ট ব্রডওয়ে স্ট্রিট। অফিস টাইমে রাস্তার ফুটপাথে ঢল নেমেছিল মানুষের। রাস্তার ধারেই সার বেঁধে দাঁড়িয়েছিল বেশ কিছু গাড়ি। হঠাৎ পথচারীদের একজনের নজরে পড়ে যায় এক অস্বস্তিকর দৃশ্য। রাস্তার ধারে দাঁড় করানো একটা গাড়ির নিচের দিকে ঝুঁকতেই তিনি দেখতে পান বছর ২৪-এর এক যুবককে। যে সেইসময় গাড়ির ধোঁয়া বার হওয়ার এক্সস্ট পাইপের ফুটোয় নিজের পুরুষাঙ্গ ঢোকানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল সে। যুবকের এমন উদ্ভট অশালীন কর্মকাণ্ড দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয় তাঁর। নিজে কোনও পদক্ষেপ না করে তিনি পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ এসে দেখে, নিঃসংকোচে যুবক তখনও মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে পাইপের সঙ্গে সঙ্গম করতে! পুলিশের দাবি, অনেকবার যুবককে গাড়ির তলা থেকে বেরিয়ে আসতে অনুরোধ করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু যৌন মিলনের আনন্দ পেতে উন্মুখ যুবক তাঁদের কথায় বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেনি। তাই গাড়ির নীচ থেকে তাকে বার করে আনতে বাধ্য হয়ে বিদ্যুতের শক দেয় পুলিশ। এরপর বেরিয়ে এলে যুবককে গ্রেফতার করে তাকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় হাসপাতালে। অতিরিক্ত ড্রাগ সেবনের পর নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে বোধশক্তি হারিয়ে সে গাড়ির পাইপের গর্তকে যোনিপথ ভেবে বিকৃত আচরণ করে ফেলে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।