পেলের খেলা অতটা মনে নেই। তবে মারাদোনাকে তাঁর মনে আছে। ছোট চেহারা। কিন্তু পায়ে বল পড়লে মারাদোনার মত অ্যাথলিট বিশ্বের আর কেউ নন। তাঁর সেই বিতর্কিত হ্যান্ড অফ গডের কথাও তাঁর মনে আছে। মারাদোনাই তাঁর ফেভারিট ফুটবলার। বাইচুং ভুটিয়া ও সুনীল ছেত্রীকে পাশে বসিয়ে ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানে এসে এমনই জানালেন ভারতের ক্রিকেট কিংবদন্তী কপিল দেব।
কপিল এদিন অকপটেই বলেন, ক্রিকেট খেলা হিসাবে ফুটবলের অনেক নিচে রয়েছে। ফুটবল গোটা বিশ্ব খেলে। আর ক্রিকেট খেলে ১০ থেকে ১৪টি দেশ। তাই ক্রিকেটের চেয়ে ফুটবল অনেকটাই ওপরে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, একজন ক্রিকেটার খুব ভাল অ্যাথলিট না হয়েও জাতীয় দলে সুযোগ পেতে পারেন। কিন্তু একজন ফুটবলারকে ভাল অ্যাথলিট হতেই হবে।
ভারতের ফুটবলের মান এখন অনেকটাই ওপরে বলেও জানান কপিল দেব। সেইসঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষকে সামনে রেখে তিনি বলেন, ক্লাবের সবচেয়ে বড় সম্পদ হল তার অনুরাগীরা। অনুরাগী ছাড়া ক্লাব সফল হতে পারেনা। কপিল এদিন বলেন তাঁর এখনও মনে আছে তিনি ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে একবার খেলেছিলেন। এদিন অনেক বিষয়েই নিজের মতামত খোলা মনে জানান কপিল দেব।
ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলার লাল-হলুদ ব্রিগেডকে শুভেচ্ছা জানান। একশো বছর ধরে একটা ক্লাব ফুটবল খেলে চলেছে। এটা খুব বড় মাইলস্টোন বলে ব্যাখ্যা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ইস্টবেঙ্গলে বহু খ্যাতনামা ফুটবলার খেলেছেন বলেও মনে করিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ফের একবার ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের নস্টালজিয়াকে উস্কে দেন।
১৯২০ সালের জুলাই মাসে জন্ম নেয় ইস্টবেঙ্গল। তাই পয়লা অগাস্ট থেকে বছরভর ক্লাবের শতবর্ষ উদযাপন চলবে। যার আনুষ্ঠানিক শুরু হল বৃহস্পতিবার। যেখানে তারকার হাট বসল। আর হাজির হলেন ইস্টবেঙ্গলের অগণিত অনুরাগী। এদিন যাঁদের পরনে ছিল লাল-হলুদ। হৃদয়ে লাল-হলুদ। হাতে পতাকা হিসাবেও লাল-হলুদ। আর মুখে ছিল ইস্টবেঙ্গলের জয়ধ্বনি। যা দেখে এখনও বোঝা যায় ক্রিকেট এখনও বাঙালির হৃদয়ের গভীরে থাকা ফুটবলপ্রেমের পুরোটাই কেড়ে নিতে পারেনি।