দেশের একমাত্র ইঁদুর মন্দির, পাপমোচন হয় সোনারূপোর ইঁদুরে
পুরাণে ইঁদুরের উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে শুধু ইঁদুর বলেই নয়, অন্য প্রাণিরও উল্লেখ মেলে। এ দেশেই কিন্তু রয়েছে ইঁদুরদের মন্দির। সেখানে ইঁদুরদের অবাধ আনাগোনা।
ইঁদুরকে সকলে চেনেন গণেশের বাহন রূপে। সেই ইঁদুরের কিন্তু ভারতীয় পুরাণেও কদর রয়েছে। আবার এই ইঁদুরদের জন্যই ভারতে রয়েছে একটি মন্দিরও। সে মন্দিরে ২৫ হাজার ইঁদুরের নিশ্চিন্ত বাস। তাদের খাওয়াদাওয়ারও যত্ন নেওয়া হয়। কারণ তাদের করণী মাতার সন্তান রূপেই মনে করা হয়ে এখানে।
কথিত আছে করণী মাতার ছেলে লক্ষ্মণ একবার কপিল সরোবরে জল পান করতে গিয়ে ডুবে যায়। তার প্রাণ ফিরিয়ে দিতে যমের কাছে প্রার্থনা করেন করণী মাতা।
প্রথমে মানতে না চাইলেও পরে করণী মাতার সেই আবেদনে সাড়া দেন যম। ফিরিয়ে দেন করণী মাতার সব পুরুষ সন্তানকে। তবে মনুষ্য রূপে নয়। ইঁদুর রূপে তাঁরা ফিরে আসেন। সেই থেকে করণী মাতা মন্দির ইঁদুরদের মন্দির হিসাবেই পরিচিত।
রাজস্থানের বিকানেরে রয়েছে এই করণী মাতার মন্দির। যেখানে বহু ভক্ত হাজির হন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এমনকি বিদেশ থেকেও বহু পর্যটক ভিড় জমান এখানে। সকলের এখানে আসার অন্যতম কারণ ইঁদুর দর্শন।
মন্দির জুড়ে শুধু ইঁদুরদের অবাধ আনাগোনা। এখানে এক নিয়ম রয়েছে। যদি কখনও কোনও ইঁদুর কোনও ভক্তের পায়ের তলায় চলে আসে আর তার ফলে তার মৃত্যু ঘটে তাহলে সেই পাপ মোচন করতে ওই ভক্তকে মন্দিরে একটি রূপো বা সোনার ইঁদুর ফেরত দিতে হয়।
আজও ভারতের একমাত্র ইঁদুর মন্দির হিসাবে পরিচিত এই করণী মাতা মন্দির। যে মন্দিরের অনুপম কারুকার্যও পর্যটকদের আকর্ষিত করে।