National

পরিচয়পত্র বাতিল, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে ১০ পুরোহিতের ঢোকা মানা

কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে ১০ জন পুরোহিতের ঢোকা বন্ধ করে দিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। তাঁদের পরিচয়পত্রও তাঁদের কাছ থেকে নিয়ে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

বারাণসীর প্রধান আকর্ষণই কাশী বিশ্বনাথের মন্দির। বাবা বিশ্বনাথের দর্শন পেতে দূর দূর থেকে মানুষ হাজির হন এখানে। করোনার জন্য মন্দির মাঝে বন্ধ থাকায় বহু ভক্ত এখানে হাজির হতে পারেননি। কিন্তু সেই সুযোগ ফের তৈরি হয় মন্দিরের দরজা খোলায়।

শ্রাবণ মাসে এই মন্দিরে ভক্তের ঢলে তিল ধারণের জায়গা থাকেনা। মন্দিরে সাধারণ মানুষের জন্য ২ রকম লাইন রয়েছে। একটি লাইনকে বলা হয় ‘সুগম দর্শন’।


এই সুগম দর্শন-এ বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়না। তবে এই লাইনের জন্য মাথা পিছু ৩০০ টাকার টিকিট কাটতে হয়। সুগম দর্শনের জন্য টিকিট নিলে ভক্তদের যাতে দর্শন ও পুজো দিতে কোনও অসুবিধা না হয় সেজন্য একজন পুরোহিতকে সঙ্গে দেওয়া হয়। এটা মন্দির পরিচালন কমিটি স্থির করেছে।

সুগম দর্শনে ভক্তদের সঙ্গে যে পুরোহিতদের দেওয়া হয় তাঁদের বলা হয় ‘নিশুল্ক শাস্ত্রী’। এঁদের কাজ হল সুগম দর্শনের টিকিট থাকা ভক্তকে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে তাঁর পুজো দিতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে ব্যবস্থা করে দেওয়া। এজন্য প্রতি ভক্ত পিছু ৩০ টাকা পান এঁরা।


কিছুদিন ধরেই এই নিশুল্ক শাস্ত্রীদের ১০ জনের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ জমা পড়ছিল মন্দির কমিটির কাছে। অভিযোগ ছিল যে ভক্তদের সাহায্য করতে মন্দিরের ভিতর নিয়ে গিয়ে পুজো দেওয়ার নামে তাঁদের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করছিলেন এই নিশুল্ক শাস্ত্রীরা।

ভক্তদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারেরও প্রচুর অভিযোগ জমা পড়ছিল। অবশেষে এই ১০ শাস্ত্রীকে চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল মন্দির কর্তৃপক্ষ।

তাঁদের কাছ থেকে পরিচয়পত্র নিয়ে নেওয়া হয়েছে। পরিচয়পত্র বাতিলও করে দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপে অন্য পুরোহিতদের কাছেও বার্তা পৌঁছে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত ভক্ত পিছু ৩০ টাকা করে বরাদ্দ পেয়েই এই নিশুল্ক শাস্ত্রীদের শ্রাবণের মত মাসে মাসিক রোজগার ১ লক্ষ টাকা পার করে যায়। তারপরেও ভক্তদের মন্দিরে নিয়ে গিয়ে এঁরা পুজোর নামে জোর করে টাকা আদায় করছিলেন বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button