তিনি ভাবেন মজার মজার জিনিস। তাই তিনি যখন লেখেন তখনও সেসব হাস্যরসাত্মক বিষয় লেখাতে ফুটে ওঠে। তেমনই জানালেন ক্যামেরার সামনে থাকা কাশ্মীরা শাহ। এবার তিনি পা রাখছেন পরিচালনায়। এতদিন যিনি তাঁর সৌন্দর্যের ঝলকে ঝলসে দিয়েছেন সিনেমার পর্দা, এবার তিনি ক্যামেরার সামনে থেকে সোজা চলে গেলেন পিছনে। কাশ্মীরা তৈরি করছেন তাঁর পরিচালনায় সিনেমা মরনে ভি দো ইয়ারো। আদ্যোপান্ত কমেডি সিনেমা। যার গল্পও তৈরি হয়েছে কাশ্মীরার কলমেই।
গল্পটি তিনি বুনলেও সিনেমার নামটি কিন্তু তাঁর দেওয়া নয়। নামটি দিয়েছেন তাঁর সিনেমার সিনেমাটোগ্রাফার নীলভ কল। নীলভের দেওয়া এই নামটি গল্পের সঙ্গে দারুণ যায় বলেই মনে করছেন কাশ্মীরা। কাশ্মীরার মতে, আজকাল, বিশেষত নব্য প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা অনেকেই দ্রুত হাল ছেড়ে দেয়। ব্যর্থতা তারা নিতে পারেনা। সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তাই। একটু কিছু হল কি না হল, নিজের জীবনটাকেই শেষ করে দেওয়ার পথ বেছে নেয় অনেকে। আবার সোশ্যাল মিডিয়া শক্তিশালী হলেও তা বাস্তব জীবন থেকে ক্রমশ মানুষকে দূরে নিয়ে যাচ্ছে। মানুষ বন্ধু হারাচ্ছে। বন্ধু থাকলেও তাঁদের সঙ্গে কথা না বলে মেসেজ করছে। এসব নিয়েই তাঁর কাহিনি দানা বেঁধেছে।
১৯৮৩ সালে কুন্দন শাহর পরিচালনায় তৈরি হয়েছিল হিন্দি কমেডি জানে ভি দো ইয়ারো। একদম অন্য ঘরানার সিনেমা। প্রবল হাসির মোড়কে বাস্তবের সামনে আয়না ধরে দিয়েছিল সেই সিনেমা। মরনে ভি দো ইয়ারো তেও কি এমনই কোনও ধারণা কাজ করছে? তার জন্য অবশ্য এখনও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। সিনেমার প্রযোজক কাশ্মীরার স্বামী কৃষ্ণা অভিষেক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা