অনলাইনে ভোট দানের রাস্তা খুলল নতুন আবিষ্কার
যদি এমনটা হত যে অনলাইনে ভোটাররা ভোট দিতেন। আর সেই ভোট সুরক্ষিতও হত। গোপনীয়তাও বজায় থাকত। আধুনিককালে এই ব্যবস্থা মানুষের সময়ও বাঁচাত।
ভোট দিতে আগে ছিল কাগজের ব্যালট পেপার। সেই ব্যালট পেপারকে পিছনে ফেলে আরও দ্রুত যাতে ভোটদান ও ভোটগণনা শুরু করা যায় এখন ব্যবহার হয় ইভিএম। কিন্তু ভোটের লাইনে দাঁড়ানো, দীর্ঘ অপেক্ষা, কাজকর্ম লাটে তুলে একটা দিন ভোটের পিছনে দেওয়া। এসব নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে।
প্রশ্ন উঠেছে ভোটকে কেন্দ্র করে অশান্তি নিয়েও। যদি সে জায়গায় এমনটা হত যে অনলাইনে ভোটাররা ভোট দিতেন। আর সেই ভোট সুরক্ষিতও হত। গোপনীয়তাও বজায় থাকত। এবার সেই পথ পরিস্কার করতে এক নয়া আবিষ্কার করে ফেলল সাইবার সুরক্ষা সংস্থা ক্যাসপারস্কি।
ভোট যে শুধু ভারতে হয় এমনটা তো নয়। বিভিন্ন দেশেই ভোট হয়। সর্বত্রই এই আধুনিক জামানায় যদি অনলাইন ভোটের ব্যবস্থা করা সম্ভব হত তাহলে মানুষের সময়ও বাঁচত। আর অনলাইনে ভোট হলে কারচুপি, বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট এসবের প্রশ্নই থাকত না।
ক্যাসপারস্কি সংস্থা তাদের ল্যাবে এমনই এক প্রোটোটাইপ ভোটিং মেশিন তৈরি করেছে যাতে ব্লকচেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইনে ভোট দেওয়া সম্ভব হবে। তাতে মানুষের সামনে ২টি রাস্তাই খুলবে।
কেউ যদি ভোট অনলাইনে দিতে না চান তাহলে তিনি বুথে যাবেন। আর চাইলে অনলাইনে নিজের হাতে বা সঙ্গে থাকা মেশিন থেকেও দিতে পারবেন। একে বলা হচ্ছে পলিস ভোটিং মেশিন।
ই-ভোটিং যদি সত্যিই শুরু করা যায় তাহলে প্রথমেই যে ভোটদান বাড়বে তা হল নব্য প্রজন্মের। এমনই মনে করছে ক্যাসপারস্কি। তাদের এই আবিষ্কার অনেক বেশি ভোটদানের রাস্তা খুলে দেবে বলেই মনে করছে তারা। তাছাড়া একগুচ্ছ সুবিধা ভোগ করা যাবে এই পদ্ধতি চালু হলে।
এতে সুরক্ষা ও গোপনীয়তার গ্যারান্টি থাকবে। যে কোনও জায়গায় বসে ভোটদান করা যাবে। ভোট গণনা দ্রুত হবে। একটিই কেন্দ্রীয় পরিচালন ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে ভোট সম্পূর্ণ হবে। এতে সময়ও অনেক বাঁচবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা