চলন্ত ট্রেনে এক যাত্রীর টিপ্পনী জন্ম দিল একটি নতুন বাদ্যযন্ত্রের
একে আশ্চর্য বললেও কম বলা হয়। চলন্ত ট্রেনে এক যাত্রীর টিপ্পনী একটি নতুন বাদ্যযন্ত্রের জন্ম দিল। তাও আবার এক সুরসাধকের হাত ধরে।
সেদিন ট্রেনে গিটারের সুরে সকলের মন ভাল করে দিচ্ছিলেন তিনি। এমন সময় এক যাত্রী বলে উঠলেন বিদেশি বাদ্যযন্ত্র কেন, কেন দেশিয় যন্ত্র বাজাচ্ছেন না তিনি? কথাটা হয়তো মর্মে ধাক্কা দিয়েছিল। সহযাত্রীর সেই টিপ্পনী তিনি ভুলতে পারেননি।
বারবার মনে হতে থাকে সত্যিই তো কেন দেশিয় বাদ্য নয়? কিন্তু গিটারের শব্দ তাঁকে শিহরিত করে। তাই গিটারের শব্দও বার হবে আবার দেশিয় বাদ্যও হবে এমন কি আছে? অনেক ভেবেও কোনও বাদ্য বার করতে পারলেন না তিনি। তাই স্থির করলেন তিনি নিজেই একটি বাদ্যযন্ত্রের জন্ম দেবেন।
অনেক ভেবে গিটারের মত তার যুক্ত একটি বাদ্যযন্ত্রের জন্ম দিলেন তিনি। যা রবাব আর গিটারের মিশ্রণ বলে মনে হতেই পারে। নাম দেন নূরি।
এই নূরি বাদ্যটি কাঠের তৈরি। যার ওপর ছাগলের ছাল দিয়ে মোড়ানো। রয়েছে ১৪টি তার। যা সুরের ঝংকার তোলে। এভাবেই ভারতীয় বাদ্যে এক নতুন নাম যুক্ত হল।
নূরির জন্মদাতা সঙ্গীতসাধক কবীশ শেঠ ভারতীয় বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের শব্দের বৈভিন্নতার ওপর একটি কাজ করেছেন। নাম দিয়েছিলেন জুবান। যা মুম্বই আইআইটি-তে হয়েছিল।
কবীশ কিন্তু ঘুরে বেড়ান অনামী জায়গায়। গ্রামে, গঞ্জে, প্রত্যন্ত এলাকায়। সেখানে তাঁর সুরে বিভোর হয়ে যান সকলে। এভাবেই তিনি কিন্তু সুরের জগতে এক নক্ষত্রে হয়ে ওঠেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা