এ জঙ্গলে গাছের মাথা ফাঁকা হয়ে গাছের তলায় তৈরি হয়েছে নতুন সংসার
ঘন জঙ্গলটা এমন ছিলনা। শত সহস্র গাছ এমন টেলিফোনের স্তম্ভের চেহারা নেয়নি। বরং তারা দিব্যি সবুজে ভরে ছিল। এখন গাছের মাথায় কিছু নেই। যা আছে নিচে।
গাছের মাথায় নেই কোনও ডালপালা। নেই সবুজ পাতা। কাণ্ডটা লম্বা উঠে এক জায়গায় শেষ হয়ে গেছে। যেন গাছ নয়, টেলিফোনের স্তম্ভ। এমন সারি দিয়ে গাছ দাঁড়িয়ে আছে বিশাল চত্বর জুড়ে। এ জঙ্গলের এমন হাল কিন্তু ২০১১ সাল পর্যন্তও ছিলনা।
সেখানে অন্য জঙ্গলের মতই সবুজে ভরা ছিল গাছপালা। কিন্তু ২০১১ সালে এক ভূমিকম্প সব ওলটপালট করে দেয়। জঙ্গলের একটা বিশাল অংশের মাটি ধসে সেখানে এক বিশাল হ্রদ তৈরি হয়।
সেই নিচু অংশ ভরে দেয় আশপাশের পাহাড়ের নদীর জল আর বৃষ্টি। দ্রুত জঙ্গলের সেই বিশাল অংশ একটি হ্রদের চেহারা নেয়। সহস্র গাছের গুঁড়ির একটা অংশ চলে যায় সেই জলের তলায়।
জলে কাণ্ডের একটা অংশ ভরে যাওয়ার পর ক্রমে গাছগুলির পাতা ঝরে যায়। ডালপালা খসে পড়ে। অবশেষে কাণ্ডটাই থেকে যায় টেলিফোনের স্তম্ভের মত।
কিন্তু সেই অবস্থা থেকে এবার তৈরি হয় এক নতুন জীবন। সে জীবন জলের ওপরে নয়, নিচে। তবে ওই গাছদের আঁকড়ে ধরেই।
কাণ্ডগুলির যে অংশ জলের তলায় ছিল সেই অংশে ক্রমে বংশবিস্তার করতে থাকে শৈবাল ও প্রচুর জলজ উদ্ভিদ। ক্রমে গাছের জলে ডোবা গুঁড়ি লেপ্টে জলের তলাটা ভরে যায় গাছে। কাজাখস্তানের সানকেন ফরেস্টে এমনভাবেই গাছের মাথা হারিয়ে গাছের জলে ডোবা তলদেশে সৃষ্টি হয়েছে নতুন প্রাণ।