কেদারনাথের দরজা খুলছে ১৪ মে, বদ্রীনাথ ১৫ মে
হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুসারে মন্দিরের দরজা খোলার দিনক্ষণ স্থির হয়। যা স্থির করার সময় হাজির থাকেন ওঙ্কারেশ্বর মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সহ অন্যরা।
কেদারনাথ মন্দিরের দরজা বছরের মধ্যে ৬ মাস খোলা থাকে। ৬ মাস বন্ধ থাকে। শীতের জন্য মন্দিরের দরজা এখন বন্ধ। আগামী ১৪ মে মন্দিরের দরজা খুলে যাচ্ছে ভক্তদের জন্য। উত্তরাখণ্ডের সাংস্কৃতিক মন্ত্রী শতপল মহারাজ সোমবার একথা ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, ১৪ কেদারনাথ মন্দির খুলছে। আর ১৫ মে খুলছে বদ্রীনাথ মন্দির। প্রসঙ্গত দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের একটি কেদারনাথ লিঙ্গ।
কবে থেকে মন্দিরে দরজা খুলবে তা সাধারণত সিদ্ধান্ত হয় মহাশিবরাত্রির দিন। এটাই প্রচলিত প্রথা। হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুসারে মন্দিরের দরজা খোলার দিনক্ষণ স্থির হয়। যা স্থির করার সময় হাজির থাকেন ওঙ্কারেশ্বর মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সহ অন্যরা। হিন্দু মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ। দুর্গম পথ পার হয়ে কেদারনাথ দর্শনে হাজির হন ভক্তরা। গাড়োয়াল হিমালয়ের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় পাহাড়ের ওপর অবস্থিত কেদারনাথ মন্দির।
মনে করা হয় ১ হাজার ২০০ বছর আগে আদি শঙ্করাচার্যের হাত ধরেই এই কেদারনাথ মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়। মন্দাকিনী ও সরস্বতী নদীর ধারে তৈরি হয় কেদারনাথ মন্দির। গাড়োয়াল জুড়েই রয়েছে পঞ্চ কেদার বা শিবের পাঁচটি লিঙ্গ। যার অন্যতম হল কেদারনাথ। অন্য ৪টি হল তুঙ্গনাথ, রুদ্রনাথ, মধ্যমহেশ্বর ও কল্পেশ্বর।
একইভাবে বদ্রীনাথেও ভক্ত সমাগম হয় দেখার মতন। একদিকে নর পাহাড় ও অন্যদিকে নারায়ণ পাহাড়। তার মাঝেই পর্বতের উপরে অবস্থিত বদ্রীনাথ মন্দির। বদ্রীনাথের বাঁ পাশ দিয়ে বয়ে গেছে অলকানন্দা নদী। বদ্রীনাথ ও কেদারনাথে বিগ্রহ দর্শনের টানে যেমন ছুটে যান ভক্তরা, তেমনই টানে এই ২ মন্দিরে পৌঁছনোর পথের অপার সৌন্দর্য, মন্দিরে পৌঁছনোর পর হিমালয়ের অমোঘ টান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা