বিশ্বের একমাত্র ভাসমান ন্যাশনাল পার্ক রয়েছে এ দেশেই, এটি শুধু পার্ক নয় রক্ষকও
বিশ্বে আর কোথাও এমন ন্যাশনাল পার্ক নেই যা ভাসছে। যা রয়েছে এ দেশেই। যেখানকার মুখ্য আকর্ষণই হল এক হরিণ যা বিশ্বে কেবল এখানেই দেখা যায়।
এ দেশে এমন অনেক কিছু রয়েছে যা বিশ্বে আর কোথাও পাওয়া যায়না, দেখা যায়না। অনেকে হাতের কাছে থেকেও তার খবর রাখেন না।
দেশের পূর্বপ্রান্ত এমনিতেই বড় একটা মানুষের পর্যটন আকর্ষণের তালিকায় পড়েনা। অথচ উত্তরপূর্বের যে ৭টি রাজ্যে সেভেন সিস্টারস নামে বিখ্যাত সেখানে ছড়িয়ে আছে অপার সৌন্দর্য আর অবাক করা সব দ্রষ্টব্য।
এই সাত বোনের এক বোন হল মণিপুর। মণিপুরে রয়েছে একটি হ্রদ লোকটাক। এই লোকটাক হ্রদেই তৈরি হয়েছে বিশ্বের একমাত্র ভাসমান জাতীয় উদ্যান বা ন্যাশনাল পার্ক।
সেখানে চারিদিকে তাকালে জলই জল। মাঝে মাঝে সবুজের দেখা মেলে। কেবুল লামজো জাতীয় উদ্যান নিছক একটি জাতীয় উদ্যানই নয়, বিশ্বের একমাত্র ভাসমান জাতীয় উদ্যানও। এখানেই বাস এক বিশেষ প্রজাতির হরিণের। বিরলতম প্রজাতির জীব হিসাবে ইতিমধ্যেই তারা তালিকাভুক্ত।
এই হরিণদের বলা হয় ডান্সিং ডিয়ার। আসল নাম সাংগাই। এই সাংগাই হরিণ দেখতেও একটু আলাদা। তবে এখন খুবই কম সংখ্যক সাংগাই বেঁচে রয়েছে। সব মিলিয়ে আড়াইশোর কিছু বেশি।
এমনই নানা ধরনের বিপন্ন প্রজাতির প্রাণি, পাখি, উদ্ভিদ দেখতে পাওয়া যায় এই কেবুল লামজো জাতীয় উদ্যান-এ। ১৯৭৭ সালে যখন এটিকে জাতীয় উদ্যানের তকমা দেওয়া হয় তখন থেকে এটি কিন্তু বিপন্ন প্রজাতির পশু, পাখি ও উদ্ভিদের নিশ্চিন্ত আশ্রয় হিসাবে রয়ে যায়। এটি জাতীয় উদ্যান হিসাবে এই বিপন্ন প্রজাতির প্রাণিদেরই রক্ষার জায়গায় হয়ে উঠেছে।