জল থইথই ঝাঁ চকচকে রেস্তোরাঁ, কারণ জানলে বিশ্বাস হবেনা
একটি বর্ধিষ্ণু রেস্তোরাঁ। যেমন সেটি বড়, তেমনই ঝাঁ চকচকে। সেই সুন্দর করে সাজানো রেস্তোরাঁকে নিজেরাই কোমর পর্যন্ত জলে ভরে দিলেন মালিকরা।

একটি বিশাল, বিখ্যাত এবং সুন্দর করে সাজানো বর্ধিষ্ণু রেস্তোরাঁ। চারিদিক যত্ন করে সাজানো। যত্নে তার রক্ষণাবেক্ষণও হয়। বহু মানুষ এখানে হাজির হন খাওয়ার জন্য। এমনই তার নাম ডাক।
সেই রেস্তোরাঁর মালিকপক্ষ আচমকা এমন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। কর্তৃপক্ষ নিজেরাই নিজেদের রেস্তোরাঁ জলে ভরতে শুরু করে। চারিদিক বন্ধ করে রেস্তোরাঁটিতে পরিস্কার জল ভরতে শুরু করে। জল ভরতে থাকে।
এভাবে কোমর পর্যন্ত জল উঠে যায়। রেস্তোরাঁটি কোমর জলের তলায় চলে যায়। সেই অবস্থাতেই কর্তৃপক্ষ রেস্তোরাঁটিকে রাখে। কোনও গ্রাহক নেই, কোমর বা একটু খাটো চেহারার মানুষের ক্ষেত্রে সেটি অনেকসময় বুক জলের সমান, বিদ্যুৎ নেই এবং এই অবস্থায় ইচ্ছে করেই রেস্তোরাঁটিকে নিয়ে এল মালিকপক্ষ। আর সেটা নিতান্তই রেস্তোরাঁকে রক্ষা করার জন্য।
অনেকের মনে হতে পারে রেস্তোরাঁর এই দুর্দশা করে কীভাবে তাকে রক্ষা করা সম্ভব? আসলে সেখানে বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যায় ভেসে গেছে। রেস্তোরাঁর বাইরে চারধারে অনেক উঁচু পর্যন্ত জল ভরে আছে। নোংরা, ঘোলা, আবর্জনা ভরা বন্যার জল।
সেই জল যাতে রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য মালিকপক্ষ রেস্তোরাঁটিকে রক্ষা করতে পরিস্কার জলে বাইরের জলের সমান করে রেস্তোরাঁয় ভরে দিয়েছেন। ফলে বাইরে থেকে আর জল ঢুকতে পারছেনা।
রেস্তোরাঁই সমান উচ্চতার জলে পরিপূর্ণ। এতে বন্যার জল রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করতে পারছেনা। কেন্টাকির এই রেস্তোরাঁটির চারধার এখন ওহিও নদীর জলে প্লাবিত। সেই নোংরা জল রেস্তোরাঁ ভরে ফেললে তা সাফ করতে অনেক খরচ যেমন হবে, তেমন রেস্তোরাঁর ক্ষতিও হবে।
তাই সেই জলকে বাইরেই আটকে রাখতে নিজেরাই নিজেদের রেস্তোরাঁকে পরিস্কার জলে ভরে দিলেন ২ মালিক। তবে তাঁরা এটাও মেনে নিচ্ছেন যে বাইরের জলস্তর যদি আরও বাড়তে থাকে তাহলে রেস্তোরাঁয় জল ঢোকা আটকানো তাঁদের পক্ষে কঠিন হবে।