টর্নেডো কাড়ল ৫০টি প্রাণ, লণ্ডভণ্ড শহর
পরপর ৪টি টর্নেডোর হানা যে কি ভয়ংকর হতে পারে তা টের পেতে অসুবিধা হয়নি মানুষজনের। ৫০টি প্রাণ কমপক্ষে কেড়ে নিয়ে গেছে এই দানব ঘূর্ণিবাত।
কোথাও কিছুই ছিলনা। শহর ছন্দেই চলছিল। আচমকাই আকাশ থেকে মাটি ছোঁয়া বনবন করে ঘুরতে থাকা দানব টর্নেডো এগিয়ে এল হুহু করে। একটা নয়। পরপর ৪টি। তাতেই তছনছ হয়ে গেল ২০০ মাইল এলাকা।
মার্কিন মুলুকের কেন্টাকির ২০০ মাইল এলাকা নিছক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে কিছুক্ষণের মধ্যে। টর্নেডোর কোপে পড়ে চোখের নিমেষে তছনছ হয়ে গেছে বিভিন্ন জায়গা।
সেখানকার বাড়িঘরের প্রবল ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে অন্য জিনিসপত্রের। তবে তার চেয়েও ভয়ংকর ৫০টি প্রাণ। ৫০টি প্রাণ কেড়ে নিয়ে গেছে এই ঝড়।
যদিও এটা প্রাথমিক হিসাব মাত্র। ধ্বংসস্তূপ সরানোর পর পরিস্কার হবে কত জনের প্রাণ গেছে এই টর্নেডোর কোপে। কেন্টাকির অনেকগুলি কাউন্টি কার্যত তছনছ হয়ে গেছে।
এদিকে গত রাতে যখন কেন্টাকি টর্নেডোয় তছনছ হচ্ছে তখন মার্কিন মুলুকেরই ইলিনয়ের একটি কারখানার বড়সড় ক্ষতি হয়েছে প্রবল ঝড়ে। যেখানে ১০০ জনের ওপর কর্মী আটকে পড়েন। এদিকে টর্নেডোর পাল্লায় পড়ে বহু গাছ উড়ে গেছে, উপড়ে পড়েছে। বহু বাড়ির চাল উড়ে গেছে।
আমেরিকায় টর্নেডো অবশ্য নতুন কিছু নয়। এই আকাশচুম্বী ঝড় যখনই আসে তখনই ধ্বংসলীলা সঙ্গে করে আনে। যা মানুষের প্রাণ, প্রাণিদের প্রাণ, জিনিসপত্রের ভয়ংকর ক্ষতি করে যায়।
তারই সাম্প্রতিকতম ঘটনার সাক্ষী হল কেন্টাকি। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। কেন্টাকির গভর্নর নিজে উদ্ধারকাজে নজর রাখছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা