বাড়িঘর, আসবাব, চাষের জমি, রাস্তাঘাট সব কিছুই চলে গেছে জলের তলায়। প্রাণের দায়ে কেউ ঘর ছেড়ে উঁচু জায়গায় সপরিবারে অস্থায়ী আস্তানা গেড়েছেন। কেউ বা আশ্রয় নিয়েছেন স্কুলের শরণার্থী শিবিরে। কবে জল নামবে তার ঠিক নেই। তাই অপেক্ষাতেই দিন গুজরান হচ্ছে সকলের। বিগত ১ মাস ধরে অকল্পনীয় দুর্ভোগে জীবন কাটাতে হচ্ছে বন্যার্তদের। তানা নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে উত্তর কেনিয়ার একাংশ। গোদের ওপর বিষফোড়া হয়ে তারপর থেকে ঝমঝমিয়ে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টিও। সেই পরিস্থিতির কোনওরকম উন্নতি এখনও হয়নি। উল্টে আরও ১ সপ্তাহ বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
একটানা বৃষ্টিতে বেশ কিছুদিন যাবত বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিধ্বস নেমেছে। বন্যা ও ধ্বসের সাঁড়াশি চাপে এই ১ মাসে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১০০ জনের। আহত ও নিখোঁজ বহু। এখনও কাদামাটির স্তূপের তলায় বহু মানুষ পড়ে আছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। তানা ও গারিসা নদী সংলগ্ন অঞ্চলের খেতের পর খেত ডুবে রয়েছে জলের তলায়। ২ লক্ষের বেশি মানুষ গৃহহারা। উত্তরের পাশাপাশি পশ্চিম কেনিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলগুলির অবস্থাও শোচনীয়। এখানকার নদীগুলিতে জল বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। এদিকে পানীয় জলের সমস্যা কপালের ভাঁজ আরও পুরু করেছে শরণার্থীদের। জলবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা। রোগে মৃত্যুও হচ্ছে অনেকের। গত ১০০ বছরেও এমন ভয়ানক দুর্যোগ দেখেননি কেনিয়ার বাসিন্দারা। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কেনিয়া প্রশাসন।