শহরের একটি হাসপাতালে আচমকাই হাজির হয়েছিলেন কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির গভর্নর। তাঁর কাছে এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে রিপোর্ট ছিল। সেখানে হাজির হয়ে একটি প্লাস্টিক ব্যাগের মধ্যে এক সদ্যোজাতের দেহ প্রথমে দেখতে পান তিনি। তারপর খোঁজখবর করে হাসপাতালের বিভিন্ন ঘর খুঁজে প্লাস্টিক ও কাগজের ব্যাগের মধ্যে গোঁজা ১২টি সদ্যোজাতের দেহ উদ্ধার করেন। কীভাবে হাসপাতালে এই সদ্যোজাতদের রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল তা এখনও অজানা। কিন্তু হাসপাতালের বিরুদ্ধে বেজায় চটেছেন নাইরোবির গভর্নর। এই ঘটনা সামনে আসার পর বিভিন্ন স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সহ বিশ্বের অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়েছে।
এই খবরে হতবাক অনেকেই। একটা হাসপাতালে একের পর এক শিশুর কীভাবে মৃত্যু হল? কেনই বা সেসব দেহ এমনভাবে ফেলে রাখা হল? কেন হাসপাতাল এই মৃত্যু লুকোনোর চেষ্টা করল? এসব সদ্যোজাতের মায়েরাই বা কোথায়? তাঁদেরই বা কী অবস্থা? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যেই নাইরোবির ক্ষুব্ধ গভর্নর হাসপাতালের সুপার সহ উচ্চপদাধিকারীদের কয়েকজনকে বরখাস্ত করেছেন। গোটা ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।