জঙ্গল জুড়ে ছড়িয়ে আছে হাতি, গণ্ডার, জিরাফদের দেহ, উঁচু হচ্ছে মৃতের স্তূপ
একের পর এক বন্যপ্রাণি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। প্রতিদিন একই ছবি। কিন্তু তাদের রক্ষা করার কোনও উপায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
জঙ্গলের জন্য বিশ্বখ্যাত এ অঞ্চল। জঙ্গলে নিশ্চিন্ত বাস হাতি, গণ্ডার, জিরাফ, জেব্রা, জলহস্তী, উটপাখি সহ আরও কত জন্তু জানোয়ারের। এখানে প্রকৃতির বুকে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ানো এসব বন্যপ্রাণিদের দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন অনেকে।
এ জঙ্গলে সাফারি করা সারাজীবনের এক সুখকর অভিজ্ঞতা হয়ে থেকে যায়। পশু পাখিদের সেই নিশ্চিন্ত জঙ্গলে এখন মড়ক লেগেছে। প্রতিদিন মৃত্যুর হচ্ছে একাধিক পশুর। কিন্তু তাদের রক্ষা করার উপায় কারও জানা নেই।
প্রকৃতির হাতেই এখন এদের বেঁচে থাকা নির্ভর করছে। জঙ্গল জুড়ে পড়ে আছে বিভিন্ন প্রাণির মৃতদেহ। ইতিমধ্যেই ১ হাজার ২৩৫টি প্রাণির মৃত্যু হয়েছে।
যে তালিকায় রয়েছে ৫১২টি নীলগাই, ৩৮১টি জেব্রা, ২০৫টি হাতি, ৪৯টি গ্রেভিজ জেব্রা, ৫১টি মোষ, ১২টা জিরাফ, ৮টি জলহস্তী, ১টি গণ্ডার, ১টি উটপাখি এবং আরও কয়েকটি প্রাণি। আরও কত মৃত্যু অপেক্ষা করছে কারও জানা নেই।
কেনিয়ার জঙ্গল পৃথিবী বিখ্যাত। কেনিয়ার সেই জঙ্গল এখন শুকোতে বসেছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে গত অক্টোবর পর্যন্ত ভয়ংকর খরা গ্রাস করেছে কেনিয়াকে।
বৃষ্টি উধাও। ফলে আস্তে আস্তে শুকিয়ে গেছে জঙ্গলের অনেক অংশ। এই জলাভাব এবং শুষ্ক আবহাওয়া সহ্য করতে পারছেনা এখানকার পশুপাখিরা। ফলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে তারা।
নভেম্বরের পর থেকে বৃষ্টির আশায় এখন আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা কেনিয়া। বৃষ্টির জলই এখন রক্ষা করতে পারে এসব প্রাণিদের।
বিশেষজ্ঞেরা আরও ভয় পাচ্ছেন যে যেভাবে কেনিয়া জুড়ে পশুপাখিদের মৃত্যু শুরু হয়েছে তাতে এখানকার বাস্তুতন্ত্রই ভেঙে পড়তে পারে। এখন নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃষ্টিই একমাত্র বাঁচাতে পরে এই প্রাণিকুলকে।