পুজোর নিয়ম ভাঙলে গুনতে হয় মোটা জরিমানা, পুজো শুরু হয় আবার প্রথম থেকে
এ পুজোর নিয়ম লঙ্ঘন করলে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হবে। তাছাড়া পুজোর মাঝপথে এই নিয়ম লঙ্ঘনের জেরে ফের নতুন করে শুরু হয় শতাব্দী প্রাচীন পুজো।
ভারতে যে কোনও প্রান্তেই যাওয়া যায় সেখানেই বেশ কিছু স্থানীয়ভাবে প্রচলিত পুজোর হদিশ মেলে। স্থানীয়রা সেই পুজো অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেন। শতাব্দী প্রাচীন সেসব পুজোর রীতি আজও অধ্যবসায়ের সঙ্গে মেনে চলা হয়। এমনই এক পুজো হল মঙ্গলবার।
শতাব্দী প্রাচীন এই পুজোয় একটি নিয়ম প্রচলিত আছে। সেখানে পুজোর পুরনো রীতি কেউ লঙ্ঘন করলে তাঁকে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়।
পুজোয় রীতি ভাঙলে ভর্ৎসনা জুটতে পারে, এমনকি তাঁকে আর পুজোয় অংশ নিতে দেওয়া হয়না এমন বিষয় জানা। কিন্তু পুজোর রীতি ভাঙলে জরিমানা শোনা যায়না!
বলা ভাল এ পুজোয় অংশ নেন বাংলা ভাষাভাষী মানুষই। কার পুজো নামে এই শতাব্দী প্রাচীন পুজো পালিত হয় ত্রিপুরায়। নিষ্ঠার সঙ্গে প্রতিবছর পালিত হয় এই পুজো।
এই পুজোর নিয়ম হল কোনও সন্তানসম্ভবা মহিলা বা গুরুতর অসুস্থ কোনও ব্যক্তি এই পুজোয় অংশ নিতে পারবেননা। যদি লুকিয়ে ঢুকেও পড়েন তাহলে তাঁকে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হবে। সেইসঙ্গে পুজো যতটাই হয়ে থাক না কেন, ফের তা শুরু হবে প্রথম থেকে।
৪৩ ঘণ্টার এই পুজোয় কোনও ধরনের আনন্দ উৎসব মানা। গান, নাচ কিছুই চলবে না। এমনকি পুজো প্রাঙ্গণে মানুষ ছাড়া আর কোনও প্রাণির প্রবেশ নিষেধ।
গত সোমবার রাত ১০টা থেকে শুরু হয়েছে এই পুজো। ত্রিপুরা সরকারের পরিচালন ব্যয়ে এই পুজো টানা ৪৩ ঘণ্টা চলে। মনুষ্য জাতির সুস্থতা কামনা এবং খারাপ সবকিছু থেকে মুক্তির প্রার্থনা করে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়।
ত্রিপুরা তো বটেই, এমনকি এই কার পুজোর রেওয়াজ আছে উত্তরপূর্ব ভারতের অন্য রাজ্য সহ বাংলাদেশের চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা