ঘোর অন্ধকারে সাঁতারু উটদের জীবন
খাদ্যের খোঁজে এরা বিশাল জলরাশি সাঁতার কেটে পার হয় অনায়াসে। তাও এবার একেবারে দল বেঁধে। এই বিশেষ প্রজাতির উট খাড়াই উট নামে পরিচিত।
উটকে ধূধূ মরু প্রান্তর ধরে মাইলের পর মাইল হাঁটতে অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু উটকে সাঁতার কাটতে দেখেছেন কী? মরুভূমিতে সাঁতার কাটার জলই বা কোথায় যে উট সাঁতার শিখবে? তাই উটের সাঁতার কাটার কথা হেঁয়ালি মনে হতেই পারে! কিন্তু এটাই সত্যি যে গুজরাটের কচ্ছে একটি প্রজাতির উট রয়েছে যারা সাঁতার কাটতে ওস্তাদ।
খাদ্যের খোঁজে এরা বিশাল জলরাশি সাঁতার কেটে পার হয় অনায়াসে। তাও এবার একেবারে দল বেঁধে। এই বিশেষ প্রজাতির উট খাড়াই উট নামে পরিচিত। এরা কচ্ছে থাকে। এদের খাবার হল প্রধানত ম্যানগ্রোভ জাতীয় অরণ্য। বর্ষাকালে বিশাল জল সাঁতরে এরা দল বেঁধে হাজির হয় ম্যানগ্রোভ অরণ্যের দ্বীপগুলিতে। সেখানে তাদের জন্য অপেক্ষা করে প্রচুর খাবার। পুরো বর্ষাটাই সেখানে থাকে তারা।
শীতকাল এই উটদের জন্য মোটেও আনন্দের সময় নয়। এ সময়ে ম্যানগ্রোভ অরণ্যে খাবার সংকট হয়। ফলে তাদের খাদ্যাভাব দেখা দেয়। কিন্তু সাম্প্রতিক খতিয়ান বলছে আপাতত এদের বেঁচে থাকাই সংকটের মুখে। ফলে প্রশ্ন উঠছে এই প্রজাতির উট আদৌও আগামী দিনে বিশ্বে থাকবে তো! কেন এমন প্রশ্ন উঠছে?
আসলে কচ্ছের যেসব ম্যানগ্রোভ অরণ্যের দ্বীপ রয়েছে আধুনিকতার প্রভাব সেখানেও পড়েছে। তৈরি হচ্ছে বাড়ি। কাটা পরছে গাছ। ফলে ক্রমশ কমছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। কমছে খাড়াই উটদের খাবার। এই খাদ্যের অপ্রতুলতা ক্রমশ তাদের বেঁচে থাকাকে কঠিন করে তুলছে।
ভারতের কচ্ছেই এই বিশেষ ধরনের উটের বাস। এখানকার রাবারি ও জাট গোষ্ঠীর মানুষজন খাড়াই উটদের দেখভাল করেন। কিন্তু এঁরাও এদের খাবারের বন্দোবস্ত করতে অপারগ। কারণ ম্যানগ্রোভ অরণ্য দরকার। যা কাটা পরছে নির্বিচারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা