Feature

গ্রামটা নিমেষে গেল বদলে, হয়ে গেল দেশের প্রথম সবুজ গ্রাম

এ গ্রামকে সকলে শিকারি গ্রাম বলেই চিনত। সেই গ্রামটাই আচমকা বদলে গিয়ে হয়ে গেল দেশের প্রথম সবুজ গ্রাম। অপরূপ এই গ্রামের শোভা ডাক দেয় পর্যটকদেরও।

চারধারে পাহাড়ের সারি। সবুজ বনানী যেন বুকে করে আগলে রেখেছে তাকে। এখানে সবুজ অরণ্যে চিরকালই অনেক পশুপাখির আনাগোনা। সেখানেই একসময় চলত দেদার শিকার। এ গ্রামে যে জনজাতির বাস তারা পশু শিকারকে তাদের সংস্কৃতি বলে মনে করত।

এখানকার জঙ্গলে তারাই শিকার করে বেড়াত। থাকত এই গ্রামে। ফলে শিকারি গ্রাম হিসাবে এই গ্রাম পরিচিত ছিল। কিন্তু ১৯৯৮ সালে সব কিছু বদলে যায়।


এখানকার জঙ্গলকে রক্ষা করতে, সেখানকার পশুপাখিদের নিশ্চিন্ত আশ্রয় দিতে এবং শিকার বন্ধ করতে তৈরি হয় খোনোমা নেচার কনজারভেশন অ্যান্ড ট্র্যাগোপান অভয়ারণ্য। ২০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে এলাকায় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হয়ে যায় প্রাণি শিকার।

ভারত মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া নাগাল্যান্ডের অঙ্গামি জনজাতির গ্রাম খোনোমা। এখানে শিকারের রমরমা বন্ধ হওয়ার পর এই গ্রাম ভরে ওঠে সবুজে। অঙ্গামিরা শিকার বন্ধ হওয়ায় বদলে ফেলেন তাঁদের জীবনযাত্রা।


শিকারি গ্রাম থেকে বদলে যাওয়া খোনোমা এতটাই সুন্দর হয়ে ওঠে, সবুজে ভরে ওঠে, অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোহময় হয়ে ওঠে যে তাকে ভারতের প্রথম সবুজ গ্রামের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এখন এই গ্রামে প্রায় ২ হাজার মানুষের বাস। সকলেই অঙ্গামি জনজাতির মানুষ। দেশের প্রথম সবুজ গ্রামের তকমা পাওয়ার পর খোনোমা দেশ বিদেশের পর্যটকদের নিত্য আনাগোনার জায়গা হয়ে উঠতে সময় নেয়নি।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button