ঘুড়িকে এভাবেও ব্যবহার করা সম্ভব, অবাক করলেন গবেষকরা
বাড়ির ছাদ বা মাঠ থেকে ঘুড়ি ওড়ানোর অভ্যাস অনেকের আছে। নেহাতই বিনোদনের এই মাধ্যমই এবার তুলে আনবে ছবি। যা বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকার ছবি তুলে আনতে সক্ষম।
সুতোর টানে পেটকাটি, ময়ূরপঙ্খী, চাঁদিয়াল, মুখপোড়া নিমেষে পৌঁছে যায় আকাশে। যত সুতো ছাড়া হয় ততই সে আকাশের বুকে ছোট হতে থাকে। উঠতে থাকে আরও আরও ওপরে।
এবার ঘুড়ির এই আকাশে ভেসে বেড়ানোকেই ছবি তোলায় কাজে লাগাতে চাইছেন গবেষকরা। কিন্তু চ্যালেঞ্জ হল ঘুড়ি আকাশে ডানা মেলে কারণ তার ওজন অতি হাল্কা হয়।
ভারী হলে তো ঘুড়ি আকাশে উড়বে না। তাই ঘুড়িতে কিছু লাগানো মানে তা ভারী হওয়া। ফলে সাধারণ আবহাওয়ায় তা আকাশে তোলা কঠিন। তাই সেভাবেই ভেবেছেন গবেষকরা।
হায়দরাবাদের ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি-র গবেষকরা পাড়ায় পাড়ায় যে সাধারণ ঘুড়ি দেখা যায় তার মাঝে যে মোটা কাঠিটি থাকে তাতে একটি ক্যামেরা জুড়ে দিচ্ছেন।
তবে ক্যামেরাটি অতি হাল্কা। কারণ একটি সাধারণ ঘুড়ির ওজন হয় ১০ গ্রামের মধ্যে। আর সাধারণ আবহাওয়ায় হাওয়ার যা গতি থাকে তাতে সর্বোচ্চ ৫০ গ্রাম পর্যন্ত ওজন যদি ঘুড়ির হয় তাহলে তা সুতোর টানে আকাশে ভাসিয়ে দেওয়া সম্ভব।
তার মানে ক্যামেরার ওজন ৪০ গ্রামের বেশি হবে না। সেটাই ছিল চ্যালেঞ্জ। আর তাতেই সফল হয়েছেন তাঁরা। গবেষকদের আশা ঘুড়িতে ক্যামেরা লাগিয়ে আকাশ থেকে প্রচুর ছবি তোলা সম্ভব হবে। যা অনেক কাজে লাগতে পারে।
ড্রোনের খরচ অনেক। তুলনায় ঘুড়িতে ক্যামেরা লাগিয়ে আকাশ থেকে ছবি আনা অনেক কম খরচে হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা