তিনি কাহিনি লেখেন না, চুরি করেন, বললেন বাহুবলী সিনেমার লেখক
তাঁর কলম দিয়েই বেরিয়েছে বাহুবলী, আরআরআর, মগধীরা-র মত বক্স অফিস কাঁপানো সিনেমার কাহিনি। সেই মানুষটি বললেন একজন তুখোড় মিথ্যেবাদী হওয়া দরকার।
হতে পারে এগুলি দক্ষিণী সিনেমা। কিন্তু ভারতীয় সিনেমার জগতে যদি সাড়া জাগানো সিনেমার তালিকা তৈরি হয় তাতে প্রথমসারিতে জায়গা পাবে বাহুবলী, আরআরআর অথবা মগধীরা। প্রতিটি কাহিনিতেই রয়েছে ইতিহাসের ছোঁয়া। যা দেখতে ইতিহাস, কিন্তু এমন কোনও ইতিহাস ভূভারতে নেই। এমন কোন স্থানও নেই। এমন কোনও চরিত্রও নেই।
আর এই নয়কে হয় দেখানোর জন্য যে দক্ষতা লাগে তা প্রথমে আসে কলম থেকে। তারপর সেটাই ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এটাই সিনেমা। বাহুবলীর লেখক কেভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ সেটাই বললেন স্পষ্ট করে।
একের পর এক অসামান্য সিনেমার গল্প লেখা বিজয়েন্দ্রকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তাঁর এই সাফল্যের মন্ত্রটা কি? যার উত্তরে বিজয়েন্দ্র সাফ জানিয়েছেন, তিনি কোনও কাহিনি লেখেন না। তিনি কেবল চুরি করেন। সেটাই তিনি কাহিনি করে দেন।
তাহলে তাঁর সব সিনেমার গল্প চুরি করা? ঠিক সেটা বলতে চাননি বিজয়েন্দ্র। তিনি পরিস্কার জানিয়েছেন, মানুষের আশপাশেই ছড়িয়ে আছে কাহিনি। সেগুলিকে দেখে, তারপর তা সাজিয়ে কতটা দক্ষতার সঙ্গে পরিবেশন করা যাচ্ছে সেটাই আসল। তাই তিনি আসলে আশপাশে ঘটা ঘটনা চুরি করে গল্প তৈরি করেন।
সম্পর্কে বাহুবলীর পরিচালক এসএস রাজামৌলির বাবা বিজয়েন্দ্র আরও জানিয়েছেন যে তিনিই সবচেয়ে ভাল গল্পকার হন যিনি খুব ভাল মিথ্যা বলতে পারেন। কারণ এখানে মিথ্যাকে সত্যি করে পরিবেশন ও বিশ্বাস করানোই আসল ক্ষমতা।
বিজয়েন্দ্র এখন দক্ষিণী সিনেমার অন্যতম সফল গল্পকার হলেও জীবনের একটা বড় অংশই তাঁর কেটেছে চাষাবাদে। অনেক পরে তিনি গল্প লেখার জগতে পা রাখেন। তারপর অবশ্য তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা