চেক বাউন্সের মামলায় বঙ্গতয়না কোয়েনা মিত্রর ৬ মাসের হাজতবাসের সাজা শোনালেন মুম্বইয়ের আন্ধেরি মেট্রোপলিটন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট। মডেল পুনম শেঠির করা ২০১৩ সালের অভিযোগক্রমে এই মামলা হয়। তারই এদিন সাজা ঘোষণা করল আদালত। যদিও কোয়েনার দাবি তাঁর আইনজীবী চূড়ান্ত শুনানির দিন আদালতে হাজির ছিলেন না। ফলে তাঁর হয়ে বলার কেউ ছিলনা। আদালতও তাঁর আইনজীবীকে বাড়তি দিন দেননি। ফলে একতরফাই শুনানি হয়। তারপর ম্যাজিস্ট্রেট কেতকী চৌহান সাজা ঘোষণা করেন। কোয়েনা জানিয়েছেন তিনি এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
কোয়েনার দাবি পুরোটাই মিথ্যা মামলা। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। সেইসঙ্গে তিনি জানান পুরো বিষয়টাই আদালতের বিচারাধীন। তিনি খুব স্বাভাবিকভাবেই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। উচ্চ আদালত কোনও রায় দানের পরই এই বিষয় নিয়ে বাকি কথা তিনি বলবেন। তবে এখন এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি নন। এই মামলায় কোয়েনাকে আদালত ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা পুনম শেঠিকে ফেরত দিতেও নির্দেশ দিয়েছে। যারমধ্যে সুদই ১ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা।
মডেল পুনম শেঠি দাবি করেছিলেন তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে কোয়েনা মিত্র ২২ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। যখন শোধ করার সময় আসে তখন কোয়েনা তাঁকে আংশিক দেনা শোধ করতে ৩ লক্ষ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু সেই চেক বাউন্স করে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা হয়। আদালতের দ্বারস্থ হন পুনম। সেই মামলায় এদিন কোয়েনা মিত্রকে ৬ মাসের হাজতবাসের নির্দেশ দিল আদালত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা