কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব এবছর পা দিল ২৪ তম বর্ষে। আবার এ বছর বাংলা সিনেমা ১০০ বছর পূর্ণ করল। ফলে বাংলা সিনেমা নিয়ে একটা আবেগ যে চলচ্চিত্র উৎসবে প্রতিফলিত হবে সেটাই ছিল স্বাভাবিক। এদিন কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করেন অমিতাভ বচ্চন। ছিলেন ওয়াহিদা রহমান, শাহরুখ খান, কাজলের মত তারকারাও। ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, সব্যসাচী চক্রবর্তী, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, জুন মালিয়ার মত বাংলা সিনেমার তারকারাও। ছিলেন মহেশ ভাট। শাহরুখ খানকে প্রতি বছরই কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেকথা রাখেন তিনি। এদিন অবশ্য অমিতাভ বচ্চন তাঁকে প্রতি বছরই না ডাকার অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন সেটা হবেনা। তাঁকে আসতেই হবে। এদিন রবীন্দ্রনাথ থেকে সত্যজিৎ রায় সবই উঠে এসেছে বিগ বির কণ্ঠে। বাংলা সিনেমার সঠিক সংরক্ষণের প্রসঙ্গও তাঁর বক্তব্যে জায়গা করে নেয়।
শাহরুখ খান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিদি বলেই সম্বোধন করেন। এদিন তিনি বলেন, তাঁকে দিদি বলেছিলেন প্রতি বছরই আসতে। কিছু বাংলা কথা শিখে আসতে। আর সেগুলো অবশ্যই বলতে। আর বাড়ি ফিরে যেতে। তিনি এতদিন ধরে এত সিনেমা করার পরও তাঁকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মজা করার জন্য নিয়ে আসা হয়। হয়তো তাঁর বুদ্ধিমত্তা একটু কম বলেই! সবই ছিল তাঁর মজার কথা। যা শুনে হাসির রোলও ওঠে। অন্যদিকে ভাই শাহরুখের সঙ্গে মজা করতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি শাহরুখকে জিজ্ঞেস করেন এতদিন পরে হিরো থেকে কেন জিরো! এদিনের অনুষ্ঠানে এসে অভিভূত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও। সার্বিক পরিবেশের প্রশংসা করেন তিনি।
২৪ তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে এবার ফোকাস থাকছে অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া মোট ৭০টি দেশের ১৭১টি সিনেমা এবার প্রদর্শিত হবে। থাকবে ১৫০টি শর্ট ফিল্ম ও তথ্যচিত্র। কলকাতার মোট ১৬টি প্রেক্ষাগৃহে এগুলি প্রদর্শিত হবে। ৮ দিনের এই উৎসবের সূচনা হল বাংলা সিনেমার অন্যতম ক্লাসিক ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’ দিয়ে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)